• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

৫৬০ মডেল মসজিদ: নির্মিত হচ্ছে কবে নাগাদ?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ইসলামী মূল্যবোধের উন্নয়ন এবং ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সনির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। শুরুতে সৌদি সরকারের সহযোগিতায় এই মসজিদগুলো নির্মাণেরকথা থাকলেও পরবর্তীতে সৌদি সরকারের অনুদানের বিষয়ে নিশ্চয়তা না পাওয়ায় নিজস্ব অর্থায়নেই এইমসজিদগুলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সৌদি সরকারের অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছরের ৪এপ্রিল। শুরুতে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয়ের ৮ হাজার ১৬৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা অনুদান হিসেবেদেওয়ার কথা ছিল সৌদি সরকারের। সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছিল মাত্র ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। নতুন প্রস্তাবেএই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এর পুরোটাই দেওয়া হবে সরকারি তহবিল থেকে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটিকরে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণশীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যারবাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্মাণকারী সংস্থারদায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি জেলায় চারতলা এবং উপজেলায়তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হবে। মূল মসজিদটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে।

জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় নিচতলা উন্মুক্ত রেখে ভবনটি নির্মিত হবে। নারী মুসল্লিদের জন্য আলাদানামাজের ব্যবস্থা থাকবে। অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের জন্য আলাদা ক্যাম্প থাকবে। মসজিদের অবকাঠামোরমধ্যে থাকবে নারী ও পুরুষদের নামাজ আদায়ের সুবিধা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েরঅফিস, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দাওয়াহ কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন পঠন ও তাহফিজ, কনফারেন্স হল,প্রশিক্ষণকেন্দ্র, শিশুশিক্ষা, নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজুর ব্যবস্থা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদেরআবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রী ও ইমাম প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা।

প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পবাস্তবায়িত হলে ৪,৪০,৪৪০ পুরুষ এবং ৩১,৪০০ নারীর নামাজ পড়ার সুযোগ হবে। পবিত্র কোরআন ওহাদিসের জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ৩৪,০০০ পাঠকের জন্য লাইব্রেরি সুবিধা নিশ্চিত হবে। প্রতিদিন ৬,৮০০গবেষকের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রতিদিন ৫৬,০০০ মুসল্লির দ্বিনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগহবে। প্রতিবছর ১৪,০০০ শিক্ষার্থীর কোরআন হিফজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রতিবছর ১৬,৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থা তৈরি হবে। প্রতিদিন ২,২৪০ দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসনের সুবিধা পাওয়াযাবে।

প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামী ফাউন্ডেশন সূত্র জানান, ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রসারে দেশেরপ্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সরকারের বিশেষ লক্ষ্য। এসব মসজিদইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।