• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অবৈধ ইটভাটায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। বিশেষ করে রাস্তার কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা ইটভাটার কারণে বর্ষায় কাদামাটি আর গ্রীষ্মে ধুলায় নাস্তা নাবুদ হতে হয় পথচারিদের। এতে বিপর্যন্ত হয়ে উঠছে জনজীবন। এসব থেকে প্রতিকার পেতে ইটভাটা মালিক ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগে জানা যায়, ইট প্রস্তুত এবং ভাটা স্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-এর ৮ ধারা অনুযায়ী, লোকালয় ও কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরি দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এবং ইটভাটা মালিকেরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আইনকে অমান্য করে ইটভাটা গড়ে তোলেন। যে কারণে অভিযোগ উঠলেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যান তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার অধিকাংশ ইটভাটাগুলোই গড়ে উঠেছে আবাদযোগ্য জমি এবং সড়ক ও মহাসড়কের কোল ঘেঁষে। ভাটাগুলোতে ইট তৈরির জন্য কেটে আনা মাটি প্রতিদিন রাস্তার ওপর পড়ছে। আর এসব কাদামাটি পড়ে ধুলা সৃষ্টি হচ্ছে। আবার বৃষ্টিতেই রাস্তার ওপর পিচ্ছিল কাদার সৃষ্টি হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

Jhenidah-Eit-Vata-Photo-(2)

যদিও কাদা থেকে রক্ষা পেতে ইটভাটা মালিকেরা ইটের গুড়া ছিটিয়ে সাময়িক সমাধান করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে রোদে শুকিয়ে সেগুলো ধুলা সৃষ্টি করে।

মহেশপুরের গুড়দহের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পানি আর রাস্তা তৈরির জন্য খোঁড়ার সময় শহরের পরিবেশ যেমন দূষিত হয়, ঠিক তেমনি রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা ইটভাটার ধুলায় গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

সদর উপজেলার চিকিৎসক বজলুর রহমান বলেন, বায়ু দূষণের কারণে অন্যান্য সময়ের চেয়ে গ্রীষ্মের সময় বেশি পরিমাণ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এছাড়াও ধুলাবালির কারণে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, এলার্জি, ফুসফুসের রোগসহ চর্ম রোগ সৃষ্টি হয়।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা বলেন, যেখানে সেখানে ইটভাটা তৈরির কারণে শুধু রোগই সৃষ্টি হচ্ছে না, কৃষি জমিও কমে যাচ্ছে। ইটভাটার আশপাশের জমিগুলোর ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে।