• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু পরিবর্তনে প্লেনে ঝাঁকুনি আরও বাড়বে : অর্থমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯  

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে পৃথিবীকে রক্ষা করা যাবে না। আগের তুলনায় বর্তমানে প্লেনে (আকাশ পথে যাত্রায়) ঝাঁকুনি বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ ঝাঁকুনি আরও ২৫ ভাগ বাড়বে। তাই যে কোনো মূল্যে জলবায়ু পরিবর্তনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আজ (রোববার) রাজধানীতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যপী ‘বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি সামিট-২০১৯’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১০ ও ১১ মার্চ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রকাচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)।

ইআরডি সচিব ও ইডকল চেয়ারম্যান মনোয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমাদ কায়কাউস, ইডকলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহমুদ মালিক প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্ব ইতোমধ্যেই ২৬ শতাংশ উপকূলীয় জমি হারিয়েছে। বিশ্বব্যাপী আমরা প্রতি বছর ২ হাজার হেক্টর জমি হারাচ্ছি। আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করছি। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ উন্নত দেশগুলো বেশি দায়ী। কিন্তু খেসারত দিতে হবে আমাদের মতো দেশগুলোকে। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বিশ্বে মাত্র ২৭২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যা খুবই সামান্য।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাবার পানি এতোটাই অপ্রতুল হয়ে গেছে যে, তাইওয়ানে রেশন হিসেবে পানি দেয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত পানির সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে কিছু কিছু দেশে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্বে যে হারে বরফ গলা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বেশকিছু উপকূলীয় অঞ্চল পানির নিচে চলে যাবে। যা আমাদের জন্য ভয়াবহ ব্যাপার।

অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার গ্রিন এনার্জিতে সহায়তা করেছে এডিবি। আমাদের চাহিদা ব্যবস্থাপনা এবং ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন সঠিকভাবে ব্যবহার করাই হলো মূল চ্যালেঞ্জ।

আহমদ কায়কাউস বলেন, গত ৫০ বছর ধরে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগ কার্যক্রম চলছে। আমাদের এখন ৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন সোলার হাউস সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে। আমারা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ সোলার সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসতে চাই।

সম্মেলনে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার ক্যাটাগরিতে এই সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কনফিডেন্স গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ প্লাটিনাম, বাংলাট্রাক, ম্যাক্স, রিজেন্ট এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার, কর্ণফুলী পাওয়ার, শক্তি পাম্প, গোল্ড স্পন্সর এবং সিটি গ্রুপ, পারটেক্স পেট্রো, সেভেন রিংস সিমেন্ট ও সামিট কর্পোরেশন সিলভার স্পন্সর হিসেবে আছে।