• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কুয়েত মৈত্রী হলের ভোট স্থগিত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। 

সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।   

প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী জানান, সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কুয়েত মৈত্রী হল ও বেগম রোকেয়া হলে তা সম্ভব হয়নি। ব্যালট বাক্স নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের। পরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেই। এ ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত বলে দাবি করেন প্রক্টর। 

 

 

এদিকে এক ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ ফের শুরু হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে উৎসবের আমেজে শুরু হয়েছে ডাকসুর নেতৃত্ব নির্বাচিত করার ভোট। সকাল ৮টা থেকে ভোট দেয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হলে হলে বুথের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন। মোট ১৮টি আবাসিক হলের ৫১১টি বুথে বিকেল ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ব্যালটবাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম নেয়া হয় ভোটকেন্দ্রে।

ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২৩ জন। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলে মোট প্রার্থী ৭৩৮ জন। কেন্দ্রে ২৫ পদ ও হল সংসদে ১৩ পদসহ মোট ৩৮ টি পদে ভোট দিতে পারবে প্রত্যক ভোটার। সে হিসেবে ৩৮ টা ভোট দিতে একজন ভোটার ৪ মিনিট সময় পাবেন।
 
এবারের নির্বাচনে ১০টি ছাত্র সংগঠন প্যানেল দিয়েছেন। তবে সব হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল আছে কেবল ছাত্রলীগের। এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। যার ৩৬ শতাংশ নারী। আর হল সংসদ মিলিয়ে, মোট প্রার্থী ৭৩৮ জন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ২৫টি পদে লড়ছেন ২২৯ জন। বাকিরা ১৮টি হলের ১৩টি করে পদের জন্য লড়ছেন। সবমিলিয়ে নারী প্রার্থী আছেন ১৫ শতাংশের মতো। এর আগে মধ্যরাতেই বুথগুলোতে ব্যালট বক্স বসানো হয়েছে। 

সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপস্থাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলেছে প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতরা ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি কিংবা যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদেরকেও পরিচয়পত্র প্রদর্শনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে।  

এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, জগন্নাথ হল ক্রসিং, রুমনা ভবন ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ও শহীদুল্লাহ হল ক্রসিংয়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।  এসব স্পটে নিরাপত্তার দায়িত্বে র‌্যাব ও পুলিশ একযোগে কাজ করবে। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপ, বিএনসিসি ও রেঞ্জার।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্রধারী ও ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুমোদিত পাসধারীরা ক্যাম্পাস এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন।