• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ন্যাপ সভাপতির সাক্ষাৎ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

ইতোমধ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত অন্যান্য দলের ৩৫ নেতা ঢাকার পৌঁছান। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ন্যাপের সভাপতি খান মোহাম্মদ ওয়ালী খান। ১১ মার্চ বিকেলে তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। দুজনের মধ্যে দীর্ঘ সময় আলাপ হয়।

এদিকে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছিল সারাদেশে। জার্মানি আর যুক্তরাজ্য সরকার তাদের কিছু কিছু নাগরিকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করে। অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত ছিল। অসহযোগ আন্দোলনের সপক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সব সংবাদপত্র। বাঙালি তার স্বাধীনতা সম্পর্কে যখন আরো সচেতন হয়ে উঠে তখন থেকেই সব সংবাদপত্র ঘটনা প্রকাশে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। অসহযোগিতা ও সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে সারাদেশের ঘটনা রেডিও বা টেলিভিশনে প্রচার করা সম্ভব হচ্ছিল না। সংবাদপত্র হয়ে উঠেছিল অন্যতম প্রকাশ মাধ্যম।

এদিকে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের সামরিক জান্তা অনুরোধের সুরে কথা বলতে শুরু করে। অন্যদিকে, ১০মার্চ ভোরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ নং জেটিতে ‘এম.ভি.সোয়াত জাহাজ নোঙ্গর করে। সোয়াতে আসে অস্ত্র। পাকিস্তান সরকার নির্দেশ দেয় ‘যারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি করে তারা পনেরই মার্চের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে চাকরি যাবে।’

অন্যদিকে ইপিসিএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেন, ‘মুজিবের নির্দেশ মেনে চলুন’। হাজার হাজার শ্রমিক নৌ-মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সমর্থন জানায়।