• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ নামক একটি সংগঠন। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিইআরসি আইনের ২(ঝ) উপধারা মতে এনার্জি সরবরাহ বা তদসম্পর্কিত বিশেষ সেবার মূল্যহার এবং ৩৪ (৫) উপধারা মতে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না। যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনরূপ পরিবর্তন ঘটে।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, উচ্চ মূল্যে এলএনজি আমদানি করে বিওসির সঙ্গে মিশিয়ে বৈধ গ্রাহকদের সরবরাহ করার কথা। কিন্তু গ্যাস কোম্পানিগুলি অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে লোকসানের দায় জনগণের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। অথচ নিয়ন্ত্রক কমিশন দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধির জন্য লুটপাটকারীদের প্রস্তাবের পক্ষে গণশুনানি আয়োজন করে। এভাবে তারা গণশুনানিকে গণতামাশায় পরিণত করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, গ্যাসের মূল্য গড়ে ৬৬% বৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করলে দেশের সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। সিএনজির মূল্যবৃদ্ধির ফলে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয়, সিএনজি শিল্প ধ্বংস ও গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের সৃষ্টি হবে। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে অচিরেই বিদ্যুতের মূল্যও বাড়বে। সেই সঙ্গে সার উৎপাদন ব্যয় বাড়লে কৃষি খাতেও নৈরাজ্য দেখা দেবে। আর এসব নৈরাজ্য ও গণভোগান্তির দায় নিয়ন্ত্রক কমিশনকে বহন করতে হবে। তারা বলেন, এ কারণে আমরা এ গণশুনানি ও গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিল করে দেশের উদ্বিগ্ন জনসাধারণকে আশু ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান প্রমুখ।