• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দেশের প্রথম আলোকিত স্মার্ট স্কুল চুয়াডাঙ্গায়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধ ও কোমলমতী শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে চুয়াডাঙ্গায় সরকারি অর্থায়নে দেশের প্রথম আলোকিত স্মার্ট স্কুল চালু করা হয়েছে। লক্ষ্য কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর ও আগামীর আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।

এটিই দেশের প্রথম স্মার্ট স্কুল। স্কুলটিতে ভিন্নতাও আছে বেশ। নানা রঙে সাজিয়ে শোভাবর্ধন করা হয়েছে। ডিজিটাল হাজিরাসহ শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাঠ নিতে পারছে।

বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট স্কুল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।

প্রাথমিকে যাতে শিশুরা ঝরে না পড়ে সে জন্য  চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিকল্পনায় গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম আলোকিত এ স্মার্ট স্কুল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্কুলটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুলটি দৃষ্টিনন্দন করতে দেয়ালে নানা রঙের রং তুলি, ছবি ও কার্টুন আঁকা হয়েছে। যাতে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হয়।

আফসার উদ্দীন নামে এক শিশুর অভিভাবক জানালেন, কিছুদিন আগেও গ্রামের প্রাইমারি স্কুলটি ছিল ভাঙাচোরা। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি পড়ত শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষকরাও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে তেমন মনোযোগী ছিলেন না। আর এ কারণে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে না যেতে নানা ফন্দি আঁটত। এখন স্কুলটি নানান রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সাজানো হয়েছে গোটা স্কুল প্রাঙ্গণ। আর এতে শিশুরা নিজ উদ্যোগেই স্কুলে যাচ্ছে।

স্মার্ট স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবদুর জব্বার বলেন, বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট স্কুল তাদের গ্রামে হওয়াতে দারুণ খুশি গ্রামের মানুষ। এতে গ্রামে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অভিভাবকরাও অনেক সচেতন হয়েছেন।

সুমাইয়া ও রবিন নামে দুই কোমলমতী শিক্ষার্থী জানায়, বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট স্কুলের শিক্ষার্থী আমরা। এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের। একই সঙ্গে এ স্কুলে লেখাপড়া করতে পেরে আমরা খুব খুশি।

বিদালয়টির প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দেশের প্রথম স্মার্ট স্কুল হওয়াতে আগের চেয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর ও আলোকিত মানুষ গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

তার মতে, এমন উদ্যোগ শিশুদের স্কুলে যেতে দারুণভাবে উৎসাহিত করবে। শিশুরা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গড়ে উঠবে। আর এভাবেই দেশ ডিজিটাল বিনির্মাণে এগিয়ে যাবে।

এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় স্কুলটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট স্কুলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল দাস।