• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৃশ্যমান হলো বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

আর স্বপ্ন নয়! ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হলো বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ। যানজট নিরসনের মাধ্যমে রাজধানীবাসীকে নিরাপদ ও দ্রুত চলাচলের সুযোগ করে দিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। দুটি ভাগে বিভক্ত প্রকল্পটির উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের কাজ এখন দৃশ্যমান। উত্তরা দিয়াবাড়ির পর মিরপুর,শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁওয়ে দৃশ্যমান হলো ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা মেট্রোরেলের কাজ। পিলারের উপর দৃশ্যমান হয়েছে এই মেগা প্রকল্পের স্প্যান। চলতি বছরের মধ্যে এই অংশ দিয়ে যাত্রী পারাপারের কথা রয়েছে।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের মেট্রোরেল এবং স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। উত্তরা থেকে আগারগাঁও এলাকা পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে দৃশ্যমান হয়েছে সুউচ্চ মেট্রোরেল পিলার। আর এসব পিলারের উপরে বসছে স্বপ্নের স্প্যান। এই স্প্যানের উপরে বসবে ব্যালাস্টলেস মেট্রোরেল ট্র্যাক। ট্র্যাকে থাকবে না পাথর ও কাঠের স্লিপার। কংক্রিটের স্প্যানের উপরে বসবে ট্র্যাক। আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত সমস্ত পিলার শতভাগ নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব পিলারের উপরে বসছে স্প্যান। স্প্যানগুলো উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মেট্রোরেল ডিপোতে নির্মিত। শেওড়াপাড়ায় ৮টি পিলারের উপরে বসেছে স্প্যান। এক পিলার থেকে অন্য পিলার পর্যন্ত মোট ১২টি ছোট ছোট স্প্যান স্লাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। মেট্রোরেলের প্রতিটি পিলারের ব্যাস দুই মিটার, ভূগর্ভস্থ অংশের ভিত্তি তিন মিটার। অন্যদিকে মাটি থেকে পিলারের উচ্চতা ১৩ মিটার। একটি স্তম্ভ থেকে আরেকটির দূরত্ব ৩০ থেকে ৪০ মিটার। এক পিলার থেকে অন্য পিলারে বসছে স্প্যান।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করার। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমাদের দেশের পাশাপাশি জাপানেও এর কাজ চলছে। আমাদের যে টার্গেট সে অনুযায়ী আমরা তাদের ওয়ার্ক প্ল্যান দিয়েছি। সে অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। কোচ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। এখন পরিদর্শন ও পর্যালোচনার কাজ চলছে। এগুলো অপারেট করার জন্য আমাদের লোকজনকে ট্রেনিং দেওয়া হবে।’

সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের কোচগুলো হবে অত্যাধুনিক ও সময়োপযোগী। প্রতিটি কোচ হবে স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে ছয়টি বগি থাকবে, যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮। বগির উভয়পাশে থাকবে চারটি দরজা। ট্রেনে সিটের ধরণ হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে দুটি হুইলচেয়ারের পাশাপাশি হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থা। এছাড়া থাকবে স্টার্টকার্ড টিকিটিং পদ্ধতি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দুটি অংশে ভাগ করে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অচিরেই স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়ে যানজট মুক্ত নগরী দেখার অপেক্ষায় ঢাকাবাসী।