• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাগ্রত এই মন্দিরে গেলেই মৃত্যু অনিবার্য!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বিভিন্ন স্থানেই তো অপূর্ব সব মন্দির রয়েছে। কোনোটি ছোট আবার কোনোটি বড় কিংবা জাকজমকতায় পরিপূর্ণ। শুধু মন্দিরই বা কেন বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ ও গীর্জা। 

এসব স্থানগুলোতে ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভীড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে ভারতে মন্দিরের কদরই আলাদা। সেখানরা দর্শনীয় বিভিন্ন মন্দির দেখতে বিশ্ববাসীর ভীড় লেগেই থাকে। তবে সারা ভারতবর্ষে মৃত্যুর দেবতার এই একটি মন্দিরই রয়েছে। এর অবস্থান হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলার ভারময় নামক স্থানে। এমনো মন্দির রয়েছে যেটি অত্যন্ত সুন্দর হলেও সেখানে কেউ ঢুকতেই চায়না প্রাণ ভয়ে।

 

হিমালয়ের পাদদেশে এর অবস্থান

হিমালয়ের পাদদেশে এর অবস্থান

ভাবেছেন কী? মন্দিরে যাওয়ার সঙ্গে আবার প্রাণের ভয় কোথায়? জানা গেছে, গুটিকয়েক ভক্ত ছাড়া আর কেউই অভিশপ্ত এই মন্দিরে পা বাড়ায়নি। যদিও পাহাড়ে ঘেরা এই মন্দিরটি অপূর্ব সুন্দর। এবার তবে জেনে নিন এই মন্দিরের আসল রহস্য। এখানে স্বয়ং মৃত্যু দেবতা যম রাজের আরাধনা করা হয়!

তাই ভয়ে কারো সাহসই হয় না এই মন্দিরে ঢোকার। কারণ সবাই মানে, একমাত্র মৃত্যুর পরই দর্শন পাওয়া সম্ভব। মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ মানেই হাজারো বিপদকে ডেকে আনা। তবে কেনইবা এতা জাকজমকভাবে যম রাজের মন্দির স্থাপন করা হয়েছিল? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো। 

 

মন্দিরের পাশে বিশ্রামাগারও রয়েছে

মন্দিরের পাশে বিশ্রামাগারও রয়েছে

এবার তবে জেনে নিন এই মন্দির সম্পর্কিত চমকপ্রদ কিছু তথ্য-

মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সাহস কারো নেই। আর তাইতো এই মন্দিরের পাশ দিয়ে যেতেও ভয় পান সেখানকার অধিবাসীরা। তবে মন্দির বলে কথা! রীতি অনুযায়ী প্রণাম তো ঠুকতেই হবে! এ কারণে ধর্মপ্রাণ জনতারা বাইরে থেকেই মন্দিরকে প্রণাম জানান। কৌতূহলবশতও কেউ মন্দিরের মধ্যে পা রাখেন না।

 স্থানীয়দের মতে, মন্দিরে শুধু যম রাজ নয় তার সঙ্গে রয়েছেন চিত্রগুপ্ত। এই মন্দিরের মধ্যেই গোপন এক ঘরেই নাকি যম রাজ ও তার সহায়ক বসবাস করেন। আর সেখানে বসেই তারা সাধারণ মানুষের ভালো মন্দের হিসাব নিকাশ করেন। যখন কারো মৃত্যু ঘটে তার ভালো মন্দের হিসাব পৌঁছে স্বয়ং যম রাজের হাতে।

 

মন্দিরটি দেখতে অনেক সুন্দর

মন্দিরটি দেখতে অনেক সুন্দর

সত্যিই কি মন্দিরের ভিতরে গোপন দরজা আছে? তারও কোনো প্রমাণ নেই। তথাকথিত তথ্য অনুযায়ী, মন্দিরটিতে মোট চারটি অদৃশ্য দরজা রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটি সোনা, রুপা, ব্রোঞ্জ এবং লোহা দিয়ে তৈরি। পুরাণেও নাকি এমন চারটি দরজার বিষয়ে লেখা রয়েছে। যম রাজের ইচ্ছা অনুযায়ীই নাকি মৃত ব্যক্তির আত্মা এসব দরজার কোনো একটি দিয়ে স্বর্গ বা নরকে পৌঁছাবে। 

এমনই সব কুসস্কারে ঠাঁসা রয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণ। ধর্মপ্রাণ মানুষরা মন্দিরকে প্রণাম জানাতে আসলেই মৃত্যু ভয়ে মন্দিরের সদর দরজা পার হয় না। মানুষের বিশ্বাস, মৃত্যুর পরেই আত্মার ঠাঁই হয় যম রাজের দরবারে। সেখানে চিত্রগুপ্ত সেই আত্মার ভালো মন্দের হিসাব পেশ করেন মৃত্যুর দেবতার সামনে। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কোন দরজা খোলা হবে?