• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খাগড়াছড়িতে মিলল নতুন গুহার সন্ধান

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

খাগড়াছড়িতে সন্ধান মিললো নতুন একটি গুহার। নাম দেয়া হয়েছে ‘তাবাক খ’। ‘তাবাক খ’ শব্দটি স্থানীয় ত্রিপুরা ভাষা। ‘তাবাক’ এর অর্থ বাদুর এবং ‘খ’ এর অর্থ গুহা। দুটি মিলিয়ে  যার অর্থ হয় বাদুর গুহা। 

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে অবস্থিত নতুন সন্ধান হওয়া গুহাটি। গুহাটি প্রথমে দেখে মনে হতে পারে প্রাগৈতিহাসিক কোনো স্থাপনা। উঁচু পাথুড়ে দুটো পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত ‘তাবাক খ’ গুহাটি। আরো অবাক করা বিষয় হলো প্রায় ৩০ ফুটেরও বেশি উচ্চতার গুহাটির মাথায় রয়েছে পাথুরে ছাদ। সেখানে রয়েছে বাঁদুরের আবাসস্থল। ঘুটঘুটে অন্ধকার আঁকাবাঁকা গুহাটি দেখলে ভয়ে শরীর চমকে ওঠে।

 

 

খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহায় মশাল নিয়ে যেতে হলেও ‘তাবাক খ’ গুহাতে মুঠোফোনের আলো নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে আলুটিলা গুহার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ‘তাবাক খ’ গুহার ভেতর শুষ্ক, কোনও পানি নেই। শুধু কি গুহা! গুহাতে যাওয়ার যাত্রাপথ এবং এর আশপাশের পরিবেশ অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের জন্য রয়েছে বাড়তি পাওনা।

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালার সীমান্তবর্তী আটমাইল থেকে যেতে হবে এই গুহায়। মূল সড়ক থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ইটের রাস্তা যাওয়া যাবে গাড়িতে। নল খাগড়া বনে ঘেরা আঁকা-বাঁকা, উচুঁ-নিচু এ রাস্তা। ইটের রাস্তা শেষ হতেই শুরু হবে দুই কিলোমিটারের পায়ে হাঁটা পথ।

 

 

পাহাড়ের ভেতরের পথ ধরে হাঁটতে হবে প্রায় ২০ মিনিট। এই ২০ মিনিট কখনও পাহাড় বেয়ে নামতে হবে আবার কখনও পানিপথ ধরে হাঁটতে হবে। গুহার ঠিক আগে শেষ যে পাহাড়টি বেয়ে নামতে হবে সেটি মূলত একটি ঝর্ণার পাশ দিয়ে শক্ত কোনও লতা ধরে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকলেও ভরা বর্ষা মৌসুমে দেখা যাবে তার বুনো রূপ। তখন তার গা ঘেঁষে নামা নিশ্চিত দারুণ এক অনুভূতি তৈরি হবে।

তারপর মাইরুং তৈসা ছড়া দিয়ে ৫-৭ মিনিট এগুলেই পৌছে যাবেন ‘তাবাক খ’ গুহার মুখে। গুহার সামনের অংশে কিছুটা আলো মিললেও বাকি পুরো অংশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। ১৬০ ফিটেরও বেশি দৈর্ঘ্য এবং প্রায় সাড়ে তিন ফিট প্রশস্ত গুহাটি দেখে মনে হতে পারে এটি মানুষের তৈরি।