লাশের কফিন ঘাড়ে নিয়ে নৃত্য প্রদর্শন করাই তাদের পেশা
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০

মৃত্যু অতি প্রাকৃত এবং অবধারিত বিষয় হলেও মেনে নেয়া খুবই কষ্টের। সেই সঙ্গে প্রিয়জন হারানোর বেদনা যেন ভোলা যায় না কিছুতেই। সারা বিশ্বে মৃত্যু কষ্ট বা শোকের ব্যাপার হলেও একটি জাতির জন্য সেটি তেমনটা নয়। আফ্রিকার দেশ ঘানায় ব্যাপারটা একেবারেই অন্যরকম।
সেখানে নতুন একটি ধারা চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে মৃতদের বিদায় জানানো হয় নাচের মাধ্যমে। ফলে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা স্ফূর্তির ছায়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক ধরনের লোকেরদের ভাড়া পাওয়া যায়। যারা টাকার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করে।
এদের রুদালি বলা হয়। ঘানায় তেমনই টাকার বিনিময়ে নৃত্যশিল্পী ভাড়া পাওয়া যায়। যারা মৃতদেহকে নিয়ে নাচানাচি করেন৷ মৃতের কফিন ঘাড়ে নিয়ে, ড্রামের তালে নাচতে নাচতে কবরস্থানে যান এই নৃত্যশিল্পীরা৷ তাদের সঙ্গে যোগ দেন পরিবারের সদস্যরাও।
লাশ ঘাড়ে নিয়ে নাচছেন তারা
কালো স্যুট-টুপি, জুতা আর সাদা শার্ট পরে ছয়জন একেকটি কফিন বহন করে নাচতে থাকেন। দলের মেয়েদের পরনে থাকে সাদা পোশাক। পেছনে ঢোল নিয়ে তারা বাজাতে থাকেন৷ মৃতদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, যখন আপনার প্রিয় একজনকে তার শেষ ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন এই মানুষগুলো নাচগান করে।
কফিন কাঁধে করে রীতিমত নেচেই যাচ্ছেন কিছু আফ্রিকান যুবক। সম্প্রতি এমনিই কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় হয়তো আপনারও মনে হয়েছে অন্যান্য ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মতো কোনো নাটকের দৃশ্য এটি। একেবারেই না, এর নেপথ্যে রয়েছে করুণ এক কাহিনী। যা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
এই নাচ-গানের রীতি আপাতদৃষ্টিতে মজার বলে মনে হলেও, এর ভেতরে লুকিয়ে আছে একটি গভীর জীবনদর্শন। এটি নিছক আমোদ-প্রমোদমূলক কোনো অনুষ্ঠান নয়। আফ্রিকার দুর্ভিক্ষ আর দারিদ্রপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে ঘানা অন্যতম। তারা বিশ্বাস করেন, একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় প্রচুর দুঃখ-কষ্ট নিয়েই বেড়ে ওঠে, দরিদ্র দেশে তো এমনটাই হয়!
কফিন নিয়ে শুয়েও নাচছেন তারা
তাই এই প্রাচীন প্রথার মধ্য দিয়ে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনেরা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রিয়জনের বিদায় যাত্রাকে খানিক আনন্দময় করে তোলা যেতে পারে। তারা বিশ্বাস করেন, জীবনের সর্বশেষ পথটুকু নাচগানের মধ্যে দিয়ে আনন্দ করতে করতে গেলে, জীবিতকালে পাওয়া দুঃখ-কষ্টের বোঝা খানিক ম্লান হতে পারে পরজন্মে।
২০১৫ সালে প্রথম ইউটিউবের একটি চ্যানেলে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। একজন মৃতের আত্মীয় তার প্রিয়জনের শেষযাত্রা ভিডিও করেছিল। জানেন কি? কফিন ডান্সারদের আসল পরিচয়। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নেয়ার পর তারা এই কাজে আসে। এই প্রাচীন প্রথাটি নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে বিবিসি।
সেখানে জানা যায় এই মৃতের কফিন কাঁধে নিয়ে যারা নাচ করেন তারা সবাই পেশাদার। শেষযাত্রায় নাচাটাই তাদের পেশা। তাদের বলা হয় ডান্সিং পলবিয়ারার। এদের কাজই হলো যখন কেউ মারা যায়, তখন শেষকৃত্যের জন্য মৃতব্যক্তির মরদেহ নেয়ার সময় নাচানাচি করা।
মৃত ব্যক্তির বিদায় অনুষ্ঠানে সবাই আনন্দ করে
এতে মৃত ব্যক্তির বিদায়টা আনন্দের হয় বলে মনে করে এ দলটি। ২০০৭ সালে ঘানার আক্রায় নানা ওতাফ্রিজা পলবিয়ারিং নামের এক প্রতিষ্ঠান খোলেন বেঞ্জামিন আইদু। গান ও নাচের মাধ্যমে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান আয়োজন করে মৃত ব্যক্তিকে সম্মান জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন।
আইদুরের দাবি, কিছু মানুষ এখন আর কাঁদতে চায় না। অন্যরা কাঁদে। তবে তারা কাঁদতে চান বা না চান, আমরা সবাইকে খুশি করি। আমরা যা করি, তাতে অন্যরা খুশি হয়। নতুন ধরণের এই উদ্যোগের মাধ্যমে অন্তত এক হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
উদ্যোক্তা বেঞ্জামিন জানিয়েছেন, মৃতদেহের সঙ্গে নাচানাচি করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও ঘানার অধিবাসীরা এমন সব কফিন তৈরি করেন যাতে সেই মৃত ব্যক্তির জীবনযাত্রা, তার স্বপ্ন, আবেগ ও সামাজিক মর্যাদা ফুটে ওঠে।
সেখানকার রাজধানী আক্রায় রয়েছে এমন অনেক কফিন কারখানা। মৃত ব্যক্তির বা তার পরিবারের ইচ্ছায় তৈরি হয় এসব কফিন। গাড়ি, ঘর, মাছ, বিভিন্ন ফল, নৌকা, প্লেন বিভিন্ন জিনিসের আদলে তৈরি হয় এসব কফিন। এসব কফিন বানাতে কাঠমিস্ত্রিরা সাধারণ যন্ত্রপাতিই ব্যবহার করে থাকেন।
- নিজ হাসপাতালেই প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন চিকিৎসকরা
- ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৯
- ঈদযাত্রায় কোন তারিখের ট্রেনের টিকিট কবে পাবেন
- দ্রুতই আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট ও সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার
- পক্ষাঘাতগ্রস্তদের সুবিধার জন্য সাভার থানায় ঢালু পথ চালু
- স্বাধীনতা দিবসে জাবিতে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা
- আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে পোশাক শ্রমিক নিহত
- বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
- রমজান : সাভারে লাভ ছাড়াই পণ্য বিক্রি করছেন ইউপি চেয়ারম্যান
- নবাবগঞ্জে গণহত্যা দিবসে আলোচনা সভা
- রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
- তিন বইয়ের জন্য সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- বাংলাদেশ দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে : যুক্তরাষ্ট্র
- পার্টি না করে গরিবদের ইফতার সামগ্রী দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- শ্রদ্ধাবনত মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত শহীদ বেদী
- জাবি শিক্ষার্থীদের পকেটে টান, পুষ্টিতে ভাটা
- স্বাধীনতা দিবসে জিনপিংয়ের শুভেচ্ছা
- নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালিত
- আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে : আইজিপি
- রোহিঙ্গা শিবিরে আসছে জাতিসংঘের জাকাত ফান্ডের টাকা
- ৪ লাখ ২০ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার কিনছে সরকার
- পায়রার ভাঙন রোধে ৭৫১ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন
- রাত সাড়ে ১০টায় এক মিনিট অন্ধকার থাকবে দেশ
- জাবিতে সাহরি-ইফতার নিয়ে বিপাকে হাজারও শিক্ষার্থী
- ২৬ মার্চ ঘিরে সাভারে চার স্তরের নিরাপত্তা: এসপি
- আজ ভয়াল ২৫ মার্চ
- কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ টিসিবির পণ্য জব্দ, গ্রেপ্তার ২
- প্রধানমন্ত্রীর ঘরে খুশির জোয়ার
- ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরান ঢাকা
- স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের ঐতিহাসিক দিন আজ
- মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জ্বলছে আগুন, পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘর
- প্রাথমিকের বৃত্তির সংশোধিত ফল আজ
- দেদার চলছে অবৈধ ভাটা
- নির্মাণ শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
- অভিযানের আঁচ পেয়ে পালালেন অবৈধ ইটভাটার মালিকরা!
- ২৮ দিনের শিশুকে হাসপাতালে রেখে বাবা-মা উধাও
- আনন্দঘন পরিবেশে জাবির ইতিহাসের বৃহৎ সমাবর্তন
- পাওনা টাকা চাওয়ায় সাভারে শিশু সন্তানকে হত্যা
- সাভারে জমি দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত ১০
- মানিকগঞ্জের চরে বেড়েছে বাদাম চাষ
- জামিন পাওয়ার ৩ দিন পর খুন
- অর্থনীতি চাঙা রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
- এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর মারামারি, অতঃপর...
- সাভারে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের ৭ই মার্চ উদযাপন
- বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের
- জাবির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের তৃতীয় পুনর্মিলনী শনিবার
- ডিবি পরিচয়ে সাভারে ৩ যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
- পলাতক জঙ্গিদের ধরতে চেষ্টা চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী