• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তুরস্কে এক টুকরো বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা। আর সেখানে নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি তুলে ধরে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন। এ যেন তুরস্কের বুকে এক টুকরো ভবনের উদ্বোধন করতে তাই করোনার মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দেশের বাইরে নির্মিত বাংলাদেশের কোনো ভবন।

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তি এবং শহীদ মিনারেরও উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিফলক হিসেবে ওই কমপ্লেক্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। ‘অজেয় বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ও বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপরে টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে। 

 

দূতাবাস পরিদর্শন করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন

দূতাবাস পরিদর্শন করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন

বাংলাদেশি স্থাপত্য রীতির আমেজ নিশ্চিত করতে ভবন দুটির বহির্ভাগে লাল ইটের এবং সমতল ছাদের ব্যবহার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আঙ্কারায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর। ৪২৮৩ বর্গ মিটার ক্ষেত্রফল আয়তনবিশিষ্ট দূতাবাস কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে অফিস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, ‘বিজয় একাত্তর’ নামের ২২৯ আসন সংখ্যার উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন মিলনায়তন, স্বয়ংক্রিয় ম্যাকানিকাল ও ইলেকট্রিকাল সিস্টেম, মসজিদ, ব্যায়ামাগার, বাংলাদেশি সামগ্রীর প্রদশর্নী কেন্দ্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়ে একটি পাঠাগার।

২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১৪ নভেম্বর ২০১০ সালে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক মিশন নির্মাণের জন্য প্লট বিনিময়ের বিষয়ে একটি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই প্রোটোকলের ফলে দু’দেশের রাজধানীতে নিজস্ব দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রাপ্তির বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। 

 

দূতাবাসের মডেল

দূতাবাসের মডেল

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্ক সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যে নিজ নিজ রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকার প্লট হস্তান্তর করা হয়।
এ ভবনটি নির্মাণে বাংলাদেশের সাশ্রয় হয়েছে বরাদ্দের তুলনায় সোয়া ২ কোটি টাকা কম। আঙ্কারার বাংলাদেশ মিশন জানায়, আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে ভবনটি নির্মাণে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা কম ব্যয় হয়েছে। ওই টাকা বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ফেরত দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালে, প্রায় ৫০ বছর আগে।