• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সৌদি যুবরাজই খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮  

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানই দেশটির রাজতন্ত্র-বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে স্থির সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি।

মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সিআইএ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, মোহাম্মাদ বিন সালমানই খাশোগিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত খাশোগি ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

সিআইএ যেসব তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ছোট ভাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে খাশোগির টেলিফোনালাপ।

ওই ফোনালাপে সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ খাশোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গিয়ে সৌদি কনস্যুলেট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেন। একই সঙ্গে ওই সাংবাদিককে এই নিশ্চয়তা দেন যে, তার কোনো ক্ষতি হবে না।

কিন্তু খাশোগি সেখানে গিয়ে নিহত হন। আর এ হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে তড়িঘড়ি করে সৌদি আরবে ফিরে যান খালিদ বিন সালমান। তাকে আর ওয়াশিংটনে ফেরত পাঠানো হয়নি বরং অন্য কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট আরো জানিয়েছে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট থেকে করা একটি ফোনকলও আমলে নিয়েছে সিআইএ। ওই ফোনকলে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘাতক দলের সদস্য মাহের মুতরেব জানান, অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।

জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা থাকায় বৃহস্পতিবার ১৭ সৌদির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতমাসে খাশোগির খুনের পর এটিই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম কঠোর পদক্ষেপ।

তবে এই নিষেধাজ্ঞায় সৌদি সরকার কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে এখনও কোনো কঠোর ঘোষণা দেয়নি মার্কিন প্রশাসন।

এখন সিআইএ’র এই মূল্যায়নের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।