• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য উদ্বোধন করলেন মোদি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮  

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাবেক বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা ও প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল্লবভাই প্যাটেলের আদলে নির্মিত ভাস্কর্যটির উচ্চতা প্রায় ৬’শ ফুট। ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ নামক ভাস্কর্যটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে।

ভারতের গুজরাটের সাদু বেট আইল্যান্ডে নর্মদা নদীর পাশে প্রায় ৬’শ ফুট উচ্চতার ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ ভাস্কর্যটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য। যা যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অব লির্বাটি থেকে দ্বিগুণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লব ভাই প্যাটেলের আদলেই নির্মিত করা হয়েছে এ ভাস্কর্যটি।

‘লোহ মানব’ নামে খেত বল্লব ভাইয়ের ১৪৩তম জন্মদিনে ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ ভাস্কর্যটি উদ্বোধনে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্রে মোদি।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীসহ অনেকে। নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি বিশেষ দিন। পাশাপাশি ভারতীয়দের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। সরদার প্যাটেল যদি দেশকে একত্রিকরণে কাজ না করতেন, তাহলে ভারত আজ বিভক্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সেই সঙ্গে একরাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলাচলের জন্য ভিসারও প্রয়োজন হতো।’ বল্লব ভাইয়ের আদলে নির্মিত মূর্তিটি এক নজরে দেখতে এরই মধ্যে নমর্দা নদীর পাশে ভিড় জমিয়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

এক স্থানীয় বলেন, ‘সত্যি এটি ভারতীয়দের জন্য আনন্দের বিষয়। আর ভাস্কর্যটি লোহ মানব বল্লব ভাইকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তাছাড়া এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য। সঙ্গে এটি বিস্ময়কর ব্যাপারও।’ এই স্থাপত্যের মাধ্যমে সংগঠিত ইন্ডিয়ার সরদার প্যাটেলের আদর্শ তুলে ধরা হয়েছে। ক্রোন দিয়ে পিতলের একটি অংশ ভাস্কর্যটির মাথায় ব্যবহার করা হয়েছে। গুজরাট সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পে ৩ হাজার ৫০ কোটি রুপি ব্যয় হয়েছে হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভাস্কর্যে বল্লব ভাইকে ধুতি ও জ্যাকেট পরা অবস্থায় রয়েছে। ভাস্কর্যটি দর্শনের জন্য দুটি লিফট সংজোন করা হয়েছে। প্রতিটি লিফটে ২৬ জন বহন করার সক্ষমতা রয়েছে। সরদার বল্লবভাই প্যাটেল ব্যারিষ্টার ও কূটনীতিক ছিলেন। তিনি সরদার প্যাটেল নামেই পরিচিত। ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেসের এই জেষ্ঠ্য নেতা দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তিনি প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে ১৯৫০ সালের ১৫ ডিসেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহান নেতা।