• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পাহাড়ি কুয়ার জলে স্নিগ্ধতা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

পাহাড়ি টিলা। উঁচু-নিচু মেঠোপথের একপাশে রয়েছে একটি পাহাড়ি কুয়া। সারাদিনের শ্রম, পরিশ্রমের পর গোসলে ঘাম থেকে মুক্তি খুঁজে পায় শরীর। সতেজতা ফিরে আসে শরীরের পরতে পরতে।

সময়ের ব্যবধানে প্রযুক্তি কারণে গভীর-অগভীর নলকূপের ফলে বিলুপ্তির পথে এই সব কুয়া। আমাদের আবহমান গ্রামবাংলা এবং পাহাড়ি অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসছে প্রাকৃতিক এই জলাধারগুলো।

সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা গেল এক শ্রমিকের স্বস্তিলাভের এমন দৃশ্য। সারাদিনের ক্লান্ত দেহটুকু এই পাহাড়ি কুয়ার জলে যেন শান্তি লাভ করছে। মুহূর্তেই সতেজ হয়ে উঠছে সে। চোখ-মুখজুড়ে তার তৃপ্তির ছাপ।

অনেক চা বাগানেই সুপেয় জলের অভাব। তাই বাধ্য হয়েই চা শ্রমিকরা তাদের বসবাসের পার্শ্ববর্তী কুয়াকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। পানি সংরক্ষণ, ব্যবহার্য বাসনপত্র ধোয়া এবং গোসল এই কাজগুলোর সবই চলে এই কুয়ার পানি দিয়ে।

গোসল করতে থাকা চা বাগানের তরুণটির নাম মার্টিন বিশ্বাস। কুয়োর পানিতে গোসল সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা তো কুয়ার পানি দিয়েই প্রতিদিন গোলস করি। খুব আরাম লাগে। সারাদিন কাজ করে বিকেলে ঘরে ফিরে শরীরে ৫/৬ বালতি পানি ঢাললেই জুড়িয়ে যায় শরীর ও মন।

কুয়ার পানিরও মাঝে মধ্যে যত্নআত্তি নিতে হয়। ছিটাতে হয় ক্ষতিকর জীবাণুনাশক পাউডার। তখন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমরা কুয়ার পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকি। তারপর ওই জীবাণুনাশকের কার্যক্ষমতা কমে গেলে আমরা আবার কুয়ার পানি ব্যবহার করি।

এই এলাকার প্রায় ২৬টি পরিবার নানান কাজে এ কুয়ার পানি ব্যবহার করে বলে জানান মার্টিন বিশ্বাস।