• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

একটি কিডনি নিয়েই বেঁচে আছেন গ্রামবাসীরা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের দুটি কিডনি থাকে। তবে আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা একটি কিডনি নিয়েও বেঁচে আছেন। এর কারণ হিসেবে হয়ত কেউ অসুখে অঙ্গটি হারিয়েছে কিংবা অসুস্থ কাউকে কিডনি দান করেছে। 

তবে টাকার জন্য কিডনি বিক্রির বিষয়টি একবার ভেবে দেখুন তো? তাও আবার যদি বিষয়টি পুরো গ্রামবাসীর প্রবণতা হয় তা খুবই ভয়াবহ এক বিষয়? ঠিক এমনই ভয়াবহ এমন কর্মকাণ্ড ঘটছে নেপালের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে। সেখানকার মানুষরা হরহামেশায় বিক্রি করে দিচ্ছেন তাদের মূল্যবান এই অঙ্গটি। পুরো গ্রামের অধিকাংশ মানুষেই এখন একটি কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন।   

 

সবারই এক কিডনি

সবারই এক কিডনি

কিডনি বিক্রির কারণে গ্রামের নামই হয়ে গেছে ‘কিডনি গ্রাম’। নবীন-প্রবীণ সবরাই এক অবস্থা। কয়েক দশক ধরে গ্রামের চিত্রটা ঠিক এই রকম। জানেন কি কেন? অল্প কয়েকটি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে গ্রামটি। নিত্য দারিদ্র এই গ্রামের সঙ্গী। এক গ্রামবাসী জানান, গ্রামের এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে হাজির হয় এক দল অসাধু ব্যবসায়ী। না কোনো মাদক পাচারের জন্য নয়, কিডনি ব্যবসার জন্য!

 

এভাবেই টাকার লোভে অঙ্গ বিক্রি করছেন গ্রামবাসী

এভাবেই টাকার লোভে অঙ্গ বিক্রি করছেন গ্রামবাসী

ওই ব্যবসায়ীরা গ্রামবাসীদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বিক্রিতে উৎসাহ দিতে শুরু করে। সেই ফাঁদে পা বাড়ান গ্রামবাসীরা। শুরু হয় কিডনি বিক্রির হিড়িক। একটি কিডনি বিক্রি করে যদি হাতে মোটা টাকা আসে তাতে ক্ষতি কী! এই চিন্তা করেই কিডনি বিক্রির খাতায় নাম লেখাতে শুরু করেন যুবক-যুবতী থেকে প্রৌঢ়রা। কেউ হাতে পেয়েছেন লাখ টাকা, কেউ বা ৮০ হাজার। তবে টাকার হিসাব লাখ খানেকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। 

সেখানকার এক গ্রামবাসী কেতন তামাঙ্গের কথায়, ছোট্ট একটা অস্ত্রোপচার। দু’দিন পর ধরাই যাবে না, শরীরের একটা অংশ বাদ গিয়েছে। আর এই কিডনি বিক্রিটা নাকি এখন প্রায় রীতিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে সেখানে। যখনই টাকার দরকার হয়, বাড়ির কোনো না কোনো সদস্য কিডনি বিক্রি করেন। তিনি আরো জানান, এতে জীবনের ঝুঁকিতো রয়েছেই। কিন্তু যেখানে মোটা টাকা পাওয়া যাচ্ছে সেখানে কিডনির হিড়িক বাড়বে না কেন!