পৃথিবীর যেসব স্থানে রয়েছে শয়তানের পদচিহ্ন!
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২০

পৃথিবীতে হাজারো বছর ধরে অসংখ্য লোককাহিনী প্রচলিত রয়েছে। যা আজো আমাদেরকে মুগ্ধ করে চলেছে। এসব লোককাহিনীর বেশিরভাগই রহস্যে ঘেরা। তার মধ্যে একটি প্রচলিত কাহিনী হলো শয়তানের পদচিহ্ন। শুধু এক স্থানে নয় বরং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে রহস্যময় পায়ের ছাপ।
বিভিন্ন তথ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন অদ্ভুত এই পদচিহ্নগুলোর আকার আকৃতি সাধারণ প্রাণীদের সঙ্গে মেলে না। বরং এসব পদচিহ্নগুলো অতিপ্রাকৃত কিনা তার পক্ষে বিপক্ষেও বিভিন্ন যুক্তি তর্ক আছে। কেউ কেউ মনে করেন এর পেছনে হাজারো জল্পনা কল্পনা রহস্য বিদ্যমান। পক্ষান্তরে অন্যরা মনে করেন, এগুলো স্রেফ সাধারণ ঘটনা। তবে অবাক করা বিষয় হলো, এসব পায়ের ছাপ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মিললেও তার নাম দেয়া হয়েছে শয়তানের পদচিহ্ন বা ডেভিলস ফুটপ্রিন্ট।
এসব পায়ের ছাপের সন্ধান মিলেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে। এমনকি কয়েকটি পদচিহ্ন আবিষ্কৃত হওয়ার সময় গণমাধ্যমেও প্রচার পেয়েছিল। তবে তারা রহস্যময় ঘটনা হিসেবে নয় বরং যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। তারপরও এখনো অনেকই বিশ্বাস করে এর মধ্যে রহস্য বিদ্যমান। আজকের লেখা তেমনই কয়েকটি রহস্যময় পদচিহ্ন সম্পর্কে যেগুলো অনেকেরই বিশ্বাস ডেভিলস ফুটপ্রিন্ট।
ড্যার টিউফেলস্ট্রিট
ড্যার টিউফেলস্ট্রিট, ক্যাথেড্রাল মিউনিখ, জার্মানি
ফ্রাউনখিয়ের্কে জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের মিউনিখ শহরের একটি গির্জা। যা ‘ক্যাথেড্রাল অব আওয়ার লেডি’ নামে পরিচিত। তবে স্থানীয়দের মধ্যে ফ্রাউনখিয়ের্কে নামেই গির্জাটি অধিক পরিচিত। জর্জ ভন হালসবাখ ২০ বছর সময়ের মধ্যে ক্যাথেড্রালটি নির্মাণ করেন। ১৪৬৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৪৭৯ সালে তার আর্থিক দুরাবস্থার কারণে তৎকালীন চতুর্থ পোপ সিক্সটাস এটি নির্মাণের সহায়তা প্রদান করেছিল। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো প্রবেশ পথে অবস্থিত টিউফেলস্ট্রিট যা শয়তানের পদচিহ্ন নামে পরিচিত। এটা পায়ের ছাপাকৃতির একটি কালো চিহ্ন। কিংবদন্তী বা লোককাহিনী অনুযায়ী হালসবাখ জানালাবিহীন গির্জা নির্মাণ করায় শয়তান এখানে দাঁড়িয়ে উপহাস করেছিল।
অন্য একটি লোককাহিনী প্রচলিত আছে, শয়তান নির্মাতার সঙ্গে এই শর্তে অর্থায়ন করার চুক্তি করে যে গির্জাতে কোনো জানালা থাকবে না। নির্মাতা বিচক্ষণতার সঙ্গে এমনভাবে স্তম্ভের অবস্থান নির্ধারণ করেন যে শয়তান যখন প্রবেশপথে দাঁড়ায় তখন সে জানালা দেখতে পায়নি। তবে শয়তান নির্মাতার চালাকি ধরতে পারলেও গির্জায় ঢুকতে পারেনি বরং প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে রাগান্বিত অবস্থায় মেঝেতে আঘাত করে যার ফলে সেখানে পায়ের ছাপ বসে যায়। কালো এই পদচিহ্নটি আজো ক্যাথড্রলের অভ্যন্তরে দেখতে পাওয়া যায় এবং মিউনিখের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
দ্য সিম্পেট ডি ডায়াভলো
দ্য সিম্পেট ডি ডায়াভলো, রোকামনফিনা আগ্নেয়গিরি ইতালি
ইতালির রোকামনফিনা আগ্নেগিরিতে সিম্পেট ডি ডায়াভলো অবস্থিত। আঠার শতকের শেষের দিকে ইতালির কাম্পানিয়ার নিকট অবস্থিত মৃত আগ্নেয়গিরি রোকামনফিনা থেকে এক জোড়া জীবাশ্ম পদচিহ্ন পাওয়া যায়। এই ছাপ আবিষ্কার করা স্থানীয়দের বিশ্বাস, শয়তান নরক থকে আগ্নেয়গিরির মুখের মাধ্যমে বের হয়ে একবার পুরো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছিল। এজন্য তারা স্থানটিকে সিম্পেট ডি ডায়াভলো বা শয়তানের পদচিহ্ন হিসেবে নামকরণ করেছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পদচিহ্নগুলো বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে, প্রায় সাড়ে তিন লাখ বছর আগে আদি মানব প্রজাতি বাইপিডাল হোমিনিড এর দ্বারা এর সৃষ্টি। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে ৮ লাখ বছরের পুরাতন হ্যাপিসবার্গের পদচিহ্ন আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে এটাকেই মনে করা হত আফ্রিকার বাইরে প্রাপ্ত আদি মানবের প্রাচীন পদচিহ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিন লাখ বছরেরও বেশি আগে আগ্নেয়গিরির মুখের আশেপাশে হাঁটার কারণে এই পদচিহ্ন সৃষ্টি হয়েছিল।
নর্থ ম্যানচেস্টার মিটিং হাউজে শয়তানের পদচিহ্ন
নর্থ ম্যানচেস্টার মিটিং হাউজ, যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মেইন’ অঙ্গরাজ্যের নর্থ ম্যানচেস্টার মিটিং হাউজে জীবাশ্ম পদচিহ্নের অস্তিত্ব বিদ্যমান। ১৭৯৩ সালে নির্মিত স্থাপনাটি শুধু একটি গির্জা কিংবা কবরস্থান নয় বরং অনেকের বিশ্বাস এখানে শয়তানের পদচিহ্নযুক্ত পাথর আছে। প্রচলিত রয়েছে, স্থাপনাটি নির্মাণের সময় শ্রমিকরা একটা পাথর পায়। যা তারা কোনোভাবেই সরাতে পারছিল না।
কোনো উপায় না দেখে একজন শ্রমিক শয়তানের কাছে নিজের জীবনের বিনিময়ে পাথর সরিয়ে দেয়ার আবেদন করে। পরের দিন অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিকরা দেখতে পায় পাথরটি আগের অবস্থান থেকে কয়েক গজ দূরে সরে গেছে। পাথরটিতে তখন শ্রমিকরা মানুষের পায়ের চিহ্ন এবং একটি খণ্ডিত খুরের চিহ্ন দেখতে পায়। লোককাহিনী অনুযায়ী, এই ঘটনার পর শয়তানের কাছে নিজের প্রাণ বিক্রি করা শ্রমিককে আর কেউ দেখতে পায়নি।
১৮৫৫ সালের গ্রট ডেভন রহস্য
১৮৫৫ সালের গ্রট ডেভন রহস্য, ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডে ১৮৫৫ সালে দেখা মেলে এক শয়তানের পদচিহ্নের। গ্রেট ডেভন রহস্য সবচেয়ে বেশি প্রচারিত এবং জনপ্রিয় ঘটনা। ১৮৫৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব এবং দক্ষিণ ডেভনে ঘটনাটি ঘটেছিল। এ সময় প্রচণ্ড তুষারপাতের পর স্থানীয়ারা প্রায় ৪০ থেকে ১০০ মাইল জুড়ে দীর্ঘ পথে খুরযুক্ত বড় বড় পায়ের চিহ্ন দেখতে পেয়েছিল।
খণ্ডিত এই পায়ের চিহ্নগুলো তুষারে ঢাকা বাড়ির ছাদ এবং উঁচু দেয়ালের উপর দেখা যাওয়ায় স্থানীয়দের বিশ্বাস আরো দৃঢ় হয় যে সেটা শয়তানেরই পদচিহ্ন। এই পদচিহ্নের অস্তিত্ব বর্তমানে না থাকলেও সে সময় সংবাদপত্রে বেশ ঘটা করেই প্রকাশিত হয়েছিল। অনেকে সাধারণ পোনির মতো প্রাণীর পদচিহ্ন বলে ব্যাখ্যা করেছে। তবে এখনো অনেকের বিশ্বাস সেগুলো শয়তানের পদচিহ্ন ছিল।
ডেভিলস ট্রাপিং গ্রাউন্ড
ডেভিলস ট্রাপিং গ্রাউন্ড, যুক্তরাষ্ট্র
ডেভিলস ট্রাপিং গ্রাউন্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনায় অবস্থিত। ভুতুড়ে স্থান হিসেবে জায়গাটি বেশ পরিচিত। সেখানে ৪০ ফুট বৃত্তের একটি অনুর্বর জায়গা আছে। অনেকের ধারণা সেখানে শয়তান নৃত্য করতে আসে। ১৮২২ সালের পর থেকে লোককাহিনী প্রচলিত আছে, সেখানে কোনো কিছু জন্মায় না। এমনকি ভয়ে কোনো প্রাণীও স্থানটি অতিক্রম করেনা। স্থানীয়দের বিশ্বাস শয়তান সেখানে নৃত্য করে এবং তার বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া যায়।
অদ্ভুত পদচিহ্ন চ্যাটাউ দে মরভেও
অদ্ভুত পদচিহ্ন চ্যাটাউ দে মরভেও, বেলজিয়াম
বেলজিয়ামের এভারবার্গের চ্যাটাউ ডি মরভেওতে ১৯৪৫ সালে স্থানীরা বরফের মধ্যে খুরের মত বড় বড় পদচিহ্ন দেখতে পায়। বন, ক্ষেত এবং জলপথ পাড়ি দিয়ে কয়েক মাইল পাড়ি দেয়া পদচিহ্নটি দেখা গিয়েছিল। স্থানীয়রা বিশ্বাস করে এটা শয়তানের পদচিহ্ন।
- দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ঢাকা
- ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে ওই কলেজ নিয়ে ঢাকা বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
- ৪ বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হতে পারে
- শিক্ষক উৎপল হত্যায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল
- মানবতাবিরোধী অপরাধ: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
- শিক্ষক উৎপল হত্যা: আজও উত্তাল সাভার
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৫০
- শিক্ষক হত্যা ও হেনস্তা: বিক্ষোভে ফুঁসছে দেশ
- আজ রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ
- সৌদি পৌঁছেছেন বাংলাদেশের ৪৬ হাজার ১২০ হজযাত্রী
- নিজ বাসায় আত্মহত্যা করলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা
- ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
- সারাদেশে বসছে ৪৪০৭ পশুর হাট, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি
- বাংলাদেশ থেকে চাল ও আলু অনুদান চেয়েছে শ্রীলংকা
- যুদ্ধের কারণে সকলকে মিতব্যয়ী হতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলার সাহসী বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি: প্রধানমন্ত্রী
- দেশে ঈদুল আজহা কবে, জানা যাবে আজ
- বাউবির একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হলেন জাবি অধ্যাপক জেবউননেছা
- স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ পরলোকগমন
- সাভারে শিক্ষক হত্যা: ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার ছিল সেই ছাত্র
- সুন্দরবনের অজগর লোকালয়ে
- ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নির্ধারণ
- শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যায় জিতু গ্রেপ্তার
- সারা দেশে বসছে ৪৪০৭ পশুর হাট, মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নয়
- স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক
- শিক্ষক হেনস্তায় কার কতটুকু গাফিলতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
- তিন ইউপি নির্বাচন স্থগিত
- জাবি কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে জাবি অধ্যাপক অসুস্থ
- ৪ জনকে মেরে নিজেও নিহত, চালকের সহকারী যা বলছেন
- পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ২৯ হাজারে
- জমে উঠেছে মানিকগঞ্জের লোকজ ও শিল্প পণ্য মেলা
- পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হবে তিন সেকেন্ডে : মাসে আদায় ১৫০ কোটি টাকা
- এক নজরে পদ্মা সেতু
- নিরাপদ খাদ্যশস্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ
- নতুন ঘরে ওঠা হলো না ফায়ার ফাইটার রানার!
- সাভারে সেফলাইন বাসের সেই ঘাতক চালক মারা গেছেন
- সবার জন্য চালু হচ্ছে পেনশন
- খোঁজ মেলেনি সেই ঘাতক বাসচালকের, মামলার বাদী পুলিশ
- চট্টগ্রামে আরেক কনটেইনার ডিপোতে আগুন
- হত্যার আগে অনিলকে দেওয়া হয় ‘ছাগল চুরির’ অপবাদ
- ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব-দূরদর্শিতার কারণেই পদ্মা সেতু হয়েছে’
- স্ত্রীর সরকারি চাকরিতে বাধা দিতে হাত কেটে নিলেন স্বামী
- উসকানিতে রাস্তায় নামলে আম-ছালা দুটোই হারাবে: প্রধানমন্ত্রী
- সাভারে জঙ্গলে অজ্ঞাত ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা মরদেহ!
- হালদায় তৃতীয় দফা ডিম ছেড়েছে মা মাছ
- সেনানিবাসে যাওয়ার পথে সেনাসদস্য নিহত
- রাজধানীর নদ্দায় বাসে হঠাৎ আগুন
- যা আছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে