• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনার ওষুধে সাফল্য দেখিয়ে কোটিপতি যুক্তরাজ্যের ৩ অধ্যাপক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২০  

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিজেদের তৈরি ওষুধে ‘বড় সাফল্য’ দেখিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের তিন অধ্যাপক।

গত ২১ জুলাই নিজেদের ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল প্রকাশের পর পরই তাদের কোম্পানির শেয়ার ৫৪০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ওষুধটি শরীরের দেয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৭৯ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কম।

ওষুধ আবিষ্কারকারী ওই তিন অধ্যাপক হচ্ছেন- রাতকো জুকানোভিক, স্টিফেন হলগেট এবং ডোনা ডেভিস। প্রায় দুই দশক আগে তারা হাঁপানি এবং দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইন্টারফেরন বিটা নামে একটি ওষুধটি আবিষ্কার করেছিলেন। যা সাধারণ সর্দি জ্বরের চিকিৎসায় সহায়তা করে।

এরপর ওই তিনজন মিলে, তাদের আবিষ্কারগুলোকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সিনায়ারজেন নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিলেন। ২০০৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার বাজারে ছাড়লেও এক চুক্তির পরে তাদের শেয়ারের দর কমে যায়।

তবে করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় ওই অধ্যাপকদের আবিষ্কার করা ওষুধটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসাবে দেখা দেয়।

সিনায়ারজেনের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মার্সডেন বলেন, 'দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস বা এম্ফিজিমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় ইন্টারফেরন বিটা ওষুধের ব্যবহার নিয়ে কোম্পানিটি বড় পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে, করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় পরে জানুয়ারিতেও আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের এ ওষুধটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।'

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় তাদের এসএনজি০০১ নামের ইন্টারফেরন বিটা ওষুধের ব্যবহারের ফলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

১০১ জনের মধ্যে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে মারাত্মক রোগের ক্ষেত্রে ৭৯ শতাংশের শ্বাসকষ্ট কমেছে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে তা কমার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার পর্যন্ত শেয়ার বাজারে সিনায়ারজেনের দাম ৩ হাজার শতাংশেরও বেশি বেড়ে ২০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যা ফলে কোম্পানির পরিচালকদের ২ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ মিলিয়ন ইউরোতে।