• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কান পাকা সচেতনতা জরুরি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০১৯  

কান পাকা রোগটি সাধারণত ছোটবেলা থেকে শুরু হয়। শিশুদের ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা কানে ইনফেকশন হলে যাকে কমনকোল্ড বলা হয়, তা থেকে কান পাকা রোগটি হয়ে থাকে।

যদিও এমন কোনো বাচ্চা নেই যার জীবনে কোনো এক সময় কানে ইনফেকশন হয়নি। সুষ্ঠু চিকিৎসার মাধ্যমে এ ইনফেকশন নিরাময় করে কান পাকা প্রতিরোধ করা যায়। অনেক সময় টনসিল, নাক ও সাইনাসে ইনফেকশন ঘন ঘন হলেও বা সব সময় নাক বন্ধ থাকলেও কানের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

এর ফলে ইউস্টেশিয়ান টিউবের ওপর চাপ পড়ে। অনেক সময় এডেনয়েড বা নাকের সমস্যার চিকিৎসার পরও এ টিউবের ফাংশন আগের মতো ফিরে আসে না।

কানের ভেতর পানি গেলে কান পাকা শুরু হয়। আসলে এ রোগীদের কানের পর্দা আগে থেকেই ফাটা থাকে, ফলে কানের ভেতর পানি গেলে কান পেকে যায়। নিয়মিত সাঁতার কাটলেই যে কান পাকবে- এ কথা সত্য নয়। অল্প আঘাতেই কানের পর্দা ফেটে গেলে বুঝতে হবে আগে থেকেই এ পর্দা অসুস্থ বা দুর্বল ছিল। তবে কানে প্রচণ্ড আঘাত লাগলে সুস্থ পর্দাও ফেটে যেতে পারে। সর্দি-কাশিতে কানের পর্দা ফেটে গিয়ে পুঁজ-পানি বের হয়। কান পাকার জন্য মাথা ঘুরায়, ভোঁ ভোঁ শব্দ হয় ও কানে ব্যথা হয়। ক্রমাগত কান পাকতে থাকলে অনেক সময় কান একেবারেই শুকাতে চায় না। কানে ইনফেকশন থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ড্রপ দেয়া যায়।

অধ্যাপক ডা. জাহির আল-আমিন

নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন

সিনিয়র কন্সালট্যান্ট

ইমপালস হাসপাতাল, ঢাকা