• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জিন সম্পাদনার গবেষণা বন্ধের নির্দেশ চীনের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮  

বিতর্কিত মানব শিশুর জিন সম্পাদনার গবেষণায় জড়িতদের তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীনের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে। চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, শিশুর জিন সম্পাদনা বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে সরকার। এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই গবেষণা নেতৃত্ব দেওয়া চীনা বিজ্ঞানী ও শেনঝেন শহরের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির অধ্যাপক হে জিয়াংকুই দাবি করেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে মানব ভ্রুণে এইডস আক্রান্ত জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশ্বে প্রথম যমজ দুই শিশু কন্যার জন্মদানে সহায়তা করেছেন তিনি। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এই ঘটনার তদন্ত করছে।

ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের সহসভাপতি জেং ইক্সিন সিসিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চীনের আইন, নীতি ও নৈতিক মানদণ্ডের ‘মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন’ করেছে এই গবেষণা।

চীনা বিজ্ঞানীর এই গবেষণার খবর প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীকে একে ‘ভয়ংকর’ ও ‘অপরিণত’ গবেষণা বলে উল্লেখ করেছেন।

এভাবে শিশুর জিন পাল্টানো বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই নিষিদ্ধ। কারণ, ডিএনএ-তে পরিবর্তন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে এর প্রভাব পড়তে পারে এবং এতে অন্য জিনগুলোর ক্ষতি হওয়ারও ঝুঁকি আছে। মূল ধারার বিজ্ঞানীরাও জিন-সম্পাদনার চেষ্টা করাকে অনিরাপদ বলে মনে করেন।