• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কী ঘটতে পারে এবারে জি ২০ সম্মেলনে?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮  

সম্মেলন শুরুর দুইদিন আগে বুধবার বুয়েন্স আয়ারসে পৌঁছেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গত অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের এটাই প্রথম সুযোগ তার। কয়েক দফা স্ববিরোধী বক্তব্য দেওয়ার পর গত মাসে সৌদি আরব স্বীকার করে কনস্যুলেটে খাশোগিকে হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে। রিয়াদ দাবি করেছে, যুবরাজ এই ঘটনার কিছুই জানতেন না। তবে তুরস্ক দাবি করে আসছে, সৌদি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ আসে। কিন্তু সৌদি বাদশাহর কাছ থেকে এই নির্দেশ আসার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কয়েকটি দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতারা যুবরাজ মোহাম্মদকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আর্জেন্টিনার ফেডারেল আদালতে করা এক আবেদনে দেশটিকে ইয়েমেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও খাশোগি হত্যায় মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা তদন্তের অনুরোধ করেছে। বুধবার আদালত আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তুরস্ক, ইয়েমেন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে তথ্য চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

অল্প যে কয়েকজন বিশ্ব নেতা আর্জেন্টিনায় সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তাদের মধ্যে অন্যতম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খাশোগি হত্যাকান্ড নিয়ে তারা আলোচনা করলেও মূল লক্ষ্য হবে রাশিয়া ও সৌদি সম্পর্কের উন্নয়ন, জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উসাকভ।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগুলু জার্মান এক দৈনিককে মঙ্গলবার বলেছেন, সম্মেলনের মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা করতে সম্মেলনের মধ্যে সৌধি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা রয়েছে তার।

মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, সম্মেলনের সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজের মধ্যে বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে হোয়াউট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ সান্ডার্স বলেছেন, সম্মেলনের সময়ে যুবরাজ ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প স্বীকার করেন, সৌদি যুবরাজ হয়তো খাশোগি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন। তারপরও সৌদি আরবের ‘অবিচল সহযোগী’ হয়ে থাকার কথা বলেন তিনি। খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৭ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপগুলোও জি ২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজের উপস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক: সাফল্য আসবে?

শনিবার ট্রাম্পের আয়োজনে আর্জেন্টিনায় এক নৈশভোজে অংশ নেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আশা করা হচ্ছে, সেখানে দুই নেতা তাদের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিরোধ কমানোর চেষ্টা করবেন।

চীনা পণ্য আমদানির ওপর ওয়াশিংটন ২৫ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপের পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির নেতারা। ওয়াশিংটনের শুল্ক আরোপের পর পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন।

চীন আশা করছে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুল্কের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করাতে পারবে তারা। যদিও দুই দেশের কর্মকর্তারাই তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো মঙ্গলবার বলেছেন, গত কয়েক মাসের হতাশাজনক আলোচনার পর এই সম্মেলন সাফল্য অর্জনের একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সেখানে চুক্তি স্বাক্ষরের একটি ভালো সম্ভাবনা আছে আর ট্রাম্প এজন্য খোলা মনে থাকবেন। তবে মেধাস্বত্ব চুরিসহ কয়েকটি ইস্যুতে যদি শর্ত পূরণ না করা হয় তাহলে চীনা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন প্রেসিডেন্ট।’

আর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বেইজিংয়ের দূত মঙ্গলবার বলেছেন, চুক্তি স্বাক্ষরের আশা নিয়েই জি ২০ সম্মেলনে যাচ্ছে তার দেশ। তবে মার্কিন কট্টরপন্থীরা যদি দুই অর্থনীতিকে আলাদা করার চেষ্টা করে তবে কঠিন পরিণতি হবে। জি ২০ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিনিধি দলে যোগ দিতে রওনা দেওয়ার আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। তিনি বলেন, গত শতকের ইতিহাসের শিক্ষা রয়ে গেছে। গত শতাব্দীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে আর তার পর হয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা (গ্রেট ডিপ্রেশন)। আমার মনে হয় না কেউ সত্যি চাইবে না ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হোক। এসব ঘটনা আর হতে দেওয়া উচিত না। সুতরাং সবাইকে দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে।

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক নিয়ে সন্দেহ

সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক নিয়ে সন্দেহ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার দুই নেতার বৈঠকের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা বাড়ায় তিনি হয়তো ওই বৈঠক বাতিল করতে পারেন।

ক্রিমিয়া উপত্যকা থেকে ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ রাশিয়া জব্দ করার পর নিজ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেছে কিয়েভ। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এখন কের্চ উপত্যকার দুই পাশই নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। সেখানেই এই জাহাজ জব্দের ঘটনা ঘটেছে। ওয়াশিংটন পোস্টকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি হয়তো ওই বৈঠক করবো না। হতে পারে আমি কখনওই ওই বৈঠক করবো না... আগ্রাসন আমার পছন্দ না। আমি কোনওভাবেই ওই আগ্রাসন চাই না।’

ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের এক সহকারী বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে নয়, যথাযথ মাধ্যমে কথা বলা উচিত। ক্রেমলিন বলেছে, দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী তারা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, তিনি চান আর্জেন্টিনায় পুতিনকে ট্রাম্প যেন একটিই বার্তা দেন: ‘ইউক্রেন থেকে বের হয়ে যাও, পুতিন’।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে আশা করা হচ্ছে দুই নেতা মধ্যপাল্লার পারমাণবিক শক্তি (আইএনএফ) বিষয়ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। গত অক্টোবরে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া মেনে না চলায় এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যেতে পারে।

মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, তার বিশ্বাস হেলসিঙ্কিতে হয়ে যাওয়া আলোচনা এগিয়ে নেবেন ট্রাম্প-পুতিন। গত জুলাইতে অনুষ্ঠিত ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিষয়ে দুই নেতা বলেছিলেন, তারা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্যসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ট্রাম্প ব্যর্থ হলে হেলসিঙ্কি সম্মেলন তিনি আশাবাদী হওয়ার মতো আর কিছু বাকি থাকে না। পরে তিনি নিজে ভুল বক্তব্য দেওয়ার কথা স্বীকার করতে বাধ্য জন ট্রাম্প। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে গোয়েন্দাদের ধারণাকে সমর্থন করেন।

জি ২০ কে না: পুঁজিবিরোধী ও অন্যান্য বিক্ষোভের আশা

অন্য জি ২০ সম্মেলনের মতো এবারের বুয়েন্স আয়ার্সের সম্মেলনের মধ্যেও পুঁজিবিরোধী ও অন্যান্য সম্মেলনের আশা করা হচ্ছে।

বুধবার পিপলস সামিট নামে একটি বড় বিক্ষোভের সূচনা হয়েছে। বিকল্প এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনে করণীয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এই পিপলস সামিট। এসময় জুড়েই থাকবে ব্যাপক বিক্ষোভ।

আর্জেন্টিনা যুদ্ধে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সন্তানদের মা ও দাদীদের সংগঠন দ্য মাদারস অব দি প্লাজা দি মায়ো বুধবার বিক্ষোভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা ও খাশোগি হত্যায় যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার পরও বুয়েন্স আয়ার্সে তার উপস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ।

শুক্রবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। বাতিল করা হয়েছে শুক্র ও শনিবারে ট্রেন সেবা। অর্থনৈতিক ব্যয় সংকোচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নানান বিক্ষোভ সামলানো আর্জেন্টিনা সরকার বিক্ষোভ দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ‘কোনও অবৈধ কর্মকান্ডের’ অনুমোদন দেওয়া হবে না, সতর্ক করেছে তারা।

এই সম্মেলনের নিরাপত্তায় থাকবে প্রায় ২২ হাজার পুলিশ ও মন্ত্রীদের সাতশো নিরাপত্তা এজেন্ট। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ব্রাজিল, ইতালি, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সরকার নিবিড় যোগাযোগ রাখছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, সম্মেলন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাসিন্দারা শহরের বাইরে থাকতে পারে।

ইউএসএমসিএ স্বাক্ষর

আশা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা নতুন একটি উত্তর আমেরিকান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা) স্বাক্ষর করবে। এই চুক্তিতে বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি বা ইউএসএমসিএ।

১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত নাফটা চুক্তিতে পরিবর্তন এনে নতুন এই চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়া হয় গত অক্টোবরে। বলা হয় আরও মুক্ত, ন্যায্য বাজার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।

তবে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে কারা এই চুক্তি স্বাক্ষর করবেন তা এখনও স্পষ্ট না। মঙ্গলবার কানাডার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, চূড়ান্ত চুক্তির লেখাজোকায় এখনও অনেক কিছু ঠিকঠাক করতে হবে। মঙ্গলবারই যদি এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যায় তাহলে তা প্রতিটি দেশের আইনি বৈধতার জন্য পাঠাতে হবে তা। কার্যকর হওয়ার আগে প্রতিটি দেশেই আইনি অনুমোদন পেতে হবে এই চুক্তির।

ব্রেক্সিট উত্তর বাণিজ্য ভবিষ্যতের তালাশে থেরেসা মে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যে বাণিজ্যের ভবিষ্যত তালাশে জি ২০ সম্মেলনকে ব্যবহার করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তবে এতে তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য পাবেন না তা স্পষ্ট হয়েছে ট্রাম্পের ইঙ্গিতে। লন্ডন ও ব্রাসেলসের মধ্যকার চলমান ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে এরমধ্যেই বিদ্রুপ করেছেন ট্রাম্প।

দেড় বছরের কষ্টসাধ্য আলোচনায় তৈরি ৬০০ পৃষ্ঠার ব্রেক্সিট চুক্তি গত রবিবার দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে ঘষামাজা করে ফেলেন ২৭ দেশের নেতারা। ঘোষণা করেন ২৬ পৃষ্ঠার উচ্চাভিলাষী ভবিষ্যত মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্ক।

এখন পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের চেষ্টায় আছেন থেরেসা মে। তবে নিজ দেশে ব্রেক্সিটবিরোধী মনোভাব জোরালো হওয়ার মধ্যে ওই অনুমোদন কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের শীর্ষ ১৯ অর্থনীতির দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গ্রুপ জি ২০। নীতিগত বিষয় ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করতে ১৯৯৯ সালে এই গ্রুপ গঠন করা হয়। এসব দেশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীরও বাস এসব দেশে। জি ২০ গ্রুপের সদস্য হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।