• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মিয়ানমারে দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন দেয়া হবে: জান্তা সরকার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২১  

ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে।

শুক্রবার রাজধানী নেপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক সরকারের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন এ কথা বলেন।

১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। একটি অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপের সূত্রে রয়টার্স বলছে, সেই থেকে এ পর্যন্ত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করতে গিয়ে ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, দুই বছরের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে। অচিরেই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আবার শুরু করার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এর আগে নেপিদোতে সিএনএনের মুখোমুখি হয়েছিলেন জ মিন তুন। প্রায় এক ঘণ্টার কথোপকথনে জান্তা সরকারের এই মুখপাত্র জোর গলায় দাবি করেন, সামরিক জেনারেলরা একটি ‘জালিয়াতি’র নির্বাচন তদন্তের মধ্য দিয়ে দেশটিকে ‘রক্ষা করছেন’। তার মতে, রাজপথে বিক্ষোভকালে যে ৬০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার পুরো দোষই ‘দাঙ্গাবাজ’ বিক্ষোভকারীদের।

জ মিন তুন সিএনএনকে জানিয়েছেন, দেশটিতে জারি করা ১ বছরের জরুরি অবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। তার কথায়, দায়িত্ব যদি শেষ না হয়, তবে সেটি (জরুরি অবস্থা) ছয় মাস বা প্রয়োজনে আরও বেশি বাড়ানো হবে।

ওই সাক্ষাৎকারে নতুন নির্বাচনের কোনও সময়সীমা না জানালেও একই ধরনের আভাস দিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের সামরিক সংবিধান অনুসারে দুই বছরের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ‘আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, এটি বাস্তবে পরিণত করবোই’- বলেন তিনি।

অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের সাহস ও আত্মমর্যাদা দেখে আমরা অভিভূত।’

মিয়ানমারে শুক্রবারও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ইয়াঙ্গুনের কাছাকাছি বাগো শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।

দ্য অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ৬১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৮টি শিশুও রয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৮শ এর বেশি মানুষ আটকাবস্থায় রয়েছেন।