স্বজন হারানোর পরে শোক পালনেরও সুযোগ দিচ্ছে না করোনা
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২১

বিধবা মা। মেয়ে অসুস্থ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ২৮ বছরের ছেলে। সেই ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে করোনা। বাড়িতে নাতনি, বউমা, অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে কী ভাবে পরের পদক্ষেপ স্থির করবেন মা? মনোবিদের কাছে সেটাই প্রশ্ন তার।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেছিলেন বছর ৩৫-এর ব্যাঙ্ককর্মী। তার পরেই শুরু হল করোনার দাপট। কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হত, তাই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী থাকছিলেন মা-বাবার কাছে। নিজেদের ফ্ল্যাটে ফিরলেন স্বামীর মৃত্যু সংবাদে। এক সপ্তাহ করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের শেষ হল যে দিন।
বাবা-মা-ছেলে করোনায় আক্রান্ত। মা ক্যানসারের রোগী। তাই তাকেই বেশি আগলাতে হয়েছে। এরইমধ্যে বাবার অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালে কয়েক দিন কাটিয়ে মৃত্যু। বাবার শেষযাত্রায় সঙ্গে থাকেননি কেউ। করোনায় বের হওয়া যাবে না, তাই। ছেলের একটাই চিন্তা, বাবার দেহ ঠিক ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তো?
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এমনই ভাবে মৃত্যু ডেকে আনছে যে, শোক পালনের সুযোগও পাচ্ছে না অধিকাংশ পরিবার। তার মধ্যেই চলছে বাকিদের সুস্থ থাকার চেষ্টা। বেঁচে থাকার জন্য সতর্কতা। যে চলে গিয়েছে, তাকে নিয়ে আর ভাবার সময় নেই যেন। আসলে সময় থাকলেও সাহস নেই আপাতত। বাকিদের জন্য আতঙ্কের মাঝে অব্যক্তই থাকছে শোকের অনুভূতি। এমন পরিস্থিতি কি পরবর্তীকালে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে? কী বলছেন মনোবিদেরা?
এখন দুঃখ প্রকাশ, বা নিয়ম মেনে শোকসভার অবকাশ নেই। কিন্তু যে কোনও মৃত্যুর পরে এটুকু প্রয়োজন হয় আগামী দিনে এগিয়ে চলার জন্য। তা না হলে পরবর্তীকালে এর একটা ভয়াবহ প্রভাব মানুষর মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে পড়তে পারে বলে মনে করেন মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল। তার বক্তব্য, এখন পরিস্থিতির ভয়াবহতায় অধিকাংশেই হতবাক। স্বজনের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করার সুযোগ নেই। তবে একটা সময় এই অবস্থা থেকে সকলেই বেরোবেন। তখন আরও বেশি করে এই শোক ফিরে আসার আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, ‘‘শোক পালনের যে সব নিয়ম, তা সাহায্য করে মৃত্যুকে মেনে নিতে। এ ক্ষেত্রে সে সব হওয়া সম্ভব নয়। একের পর এক ধাক্কা আসছে। এমন ক্ষেত্রে শরীরের উপরের প্রভাব পড়ে।’’
নিজেকে সময় দিতে বলা হয় সাধারণত যে কোনও মৃত্যুর পরে। এ ক্ষেত্রে সেই সময়টা পাওয়া যাচ্ছে না বাস্তব পরিস্থিতিকে মেনে নেয়ার জন্য। ফলে এখন অধিকাংশেই সেই আবেগের সঙ্গে বোঝাপড়া করার সময় পাচ্ছেন না বলে বক্তব্য মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তার বক্তব্য, এখন একের পর এক ঘটছে। অনেকেই যেন অসাড় হয়ে গিয়েছেন এই সব খবরে। যখন পরপর দুর্যোগ আসতে থাকে, তখন অনেক সময়ে আবেগের তীব্রতায় অসাড়তা আনাও প্রয়োজন হয়। তা না হলে তার সঙ্গে টিকতে পারা মুশকিল হয়। বহু বছর পরে অনেক সময়ে এই না যাপন করা কষ্ট ফিরে আসতে পারে।
কী ভাবে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা যায় এই পরিস্থিতির মধ্যে?
কান্না পাওয়া স্বাভাবিক। স্বজন বিয়োগ ঘটলে দুঃখ হওয়ায় তো দোষ নেই। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন। যেমন ভাবে তাঁর জীবনাবসানের বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে, তা করাই ভাল বলে বক্তব্য অনুত্তমার। চোখে জল এলে, তা বেরোতে দেওয়া জরুরি। যে কোনও কিছুর একটা শেষ টানা দরকার। করোনা তা করতে দিচ্ছে না। তবে নিজের মতো করে একটা সমাপ্তি টানতে পারলে ভাল। না হলে তার প্রভাব পড়বে বাকি সব সিদ্ধান্ত, কাজে। শোককে ধামাচাপা দিয়ে চলা সম্ভব হয় না।
অনুত্তমার আরও বক্তব্য, প্রিয়জনের মৃত্যুতে যেন অপরাধবোধ না ঘিরে ধরে। সংক্রমণ এক জনের থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। বিশেষ কে বাড়ির মধ্যে। সংক্রমিতদের অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন, কেউ কেউ পারছেন না। কিন্তু কার থেকে তা ছড়াল, তা ভেবে নিজেকে কষ্ট দেওয়ার মানে নেই। যত্নে কোথাও ত্রুটি রয়ে গেল কি না, এ ধরনের কথা ভেবে, নিজেকে দোষ দিলে চলবে না।
সময়ের সঙ্গে নিজেকে কিছুটা মানিয়ে নিতে হবে। মৃত্যুর সময়ে বহু ক্ষেত্রেই পাশে থাকা যাচ্ছে না। তবে যে সময়টা একসঙ্গে কাটানো হয়েছে, সেই স্মৃতিগুলো ধরে রাখা জরুরি। সময়ের যে দাবি, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। শেষ দেখা হল না কেন, শেষযাত্রায় পাশে থাকা হল না, ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়া হল না— প্রিয়জনের হঠাৎ মৃত্যুর পরে এমন সব আক্ষেপ ধরে রাখলে নিজের কষ্ট বাড়বে।
সূত্র: আনন্দবাজার
- গরম খুন্তি দিয়ে দুই সন্তানের পা ঝলসে দিলেন বাবা
- ছিনতাই হওয়া পিকআপ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
- জাবি’র ভিসি প্যানেল নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের ৩ প্যানেল ঘোষণা
- প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভা
- রেমিট্যান্স আনা আরো সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- দাপ্তরিক কাজে সরকারি ই-মেইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক
- সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে আ’লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি
- কুষ্টিয়ায় জেএমবি সদস্যসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন
- ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ: রেস্টুরেন্ট কর্মী রাজুর যাবজ্জীবন
- ‘শিশুদের জন্য এই টিকা নিরাপদ, যুক্তরাষ্ট্রেও দেওয়া হচ্ছে’
- মন্ত্রণালয়কে ব্যাখ্যা তুলে ধরার নির্দেশ মন্ত্রিসভার
- সতর্ক সংকেত বহাল, বৃষ্টি থাকবে
- ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ইয়াবা, কারবারি গ্রেপ্তার
- বাসাবাড়িতে হামলা-ভাংচুর, মেম্বার সহ গ্রেফতার ৮
- নবাবগঞ্জে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
- ঢাকার বাসে থাকবে না ‘ওয়ে বিল’ ও ‘চেকার’
- মানিকগঞ্জে নকল স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ৩
- র্যাবের এয়ার উইং পরিচালকের নিথর দেহ ঢাকায়
- ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে সরকার তৎপর’
- সাভারে পাঁচ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
- র্যাবের ভেজালবিরোধী অভিযানে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা
- কেরানীগঞ্জে ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে নারীসহ ২ জন আটক
- উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন, জাবিতে গণতান্ত্রিক আবহ ফেরার আশা
- বাংলাদেশের কাছে ভোট চায় যুক্তরাষ্ট্র
- কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানি ঠেকাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮ নির্দেশনা
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৫৫
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ১৮টি অ্যারাবিয়ান ঘোড়া উপহার দিল কাতার
- ৩ বছরে ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া, মূল বেতন ৩৭ হাজার
- কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানি ঠেকাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮ নির্দেশনা
- বঙ্গমাতা নারীদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন: স্পিকার
- বন্ধুকে নিয়ে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী
- পরিবেশ দূষণ : সাভারে ভাঙা হলো একটি অবৈধ কারখানা, দুটিকে জরিমানা
- রাজশাহীর নিখোঁজ ৪ স্কুলছাত্রী সাভারে উদ্ধার
- চিকিৎসক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ১
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে: স্পিকার
- ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে সরকার তৎপর’
- বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- কেরানীগঞ্জ মাদরাসা থেকে পালিয়ে যাওয়া ৩ শিক্ষার্থী চাঁদপুরে উদ্ধার
- বন্যাদুর্গতদের জন্য ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাতিসংঘ
- ঢাকায় পৌঁছালো কলকাতায় যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়া বিমান
- ডলারের খপ্পরে ব্যাংক কর্মকর্তার ১০ লাখ টাকা খোয়া
- মানিকগঞ্জে সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আহত ১০
- নববধূকে ঘরে রেখে গভীর রাতে প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে ধরা
- ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে ॥ পদ্মা সেতু যুক্ত করেছে তিন বন্দরকে
- কেরানীগঞ্জে কোরবানির মাংস নিতে এসে পদদলিত হয়ে কিশোরের মৃত্যু
- বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারকার্যে গতি বাড়াতে হবে: আইনমন্ত্রী
- এনআইডি সংশোধনে ইসির নতুন নির্দেশনা
- বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, সাশ্রয় করছি: কামরুল ইসলাম
- লালবাগ কেল্লায় দর্শনার্থীর ভিড়
- নদীতে ডুবে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু