• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

২৬ ধনীর সম্পদ ৩৮০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯  

পুঁজিবাদের এই যুগে কিছু মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ছে আর অন্যদিকে গরীব থেকে আরও গরীব হয়ে যাচ্ছে বাকি সবাই। ফলে পৃথিবীর মোট সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ওইসব পুঁজিপতিদের হাতে। সোমবার আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম জানিয়েছে, বিশ্বের ২৬ জন ব্যক্তির যে সম্পদ আছে তা নাকি ৩৮০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের সমান।

ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অক্সফাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলছে, অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যতা রক্ষা করতে হলে এসব ধনী ব্যক্তিদের ওপর বেশি করে করারোপ করতে হবে। অক্সফাম আরও বলছে, বিশ্বের কোটিপতিদের সম্পত্তি প্রতিদিন আড়াই বিলিয়ন বৃদ্ধি পায়। 

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনের আগে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো সংস্থাটি। প্রতিবছরের জানুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা দাভোসের এ সম্মেলনে অংশ নেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা আমাজন ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গের কোটিপতি সূচক অনুসারে, ৫৪ বছর বয়সী জেফ বেজোসের এখন সম্পদের পরিমাণ ১৪০ বিলিয়ন ডলার। অক্সফাম বলছে, তার সম্পদের এক শতাংশ প্রায় এগারো কোটি মানুষের দেশ ইথিওপিয়ার মোট স্বাস্থ্য বাজেটের সমান।

Oxfamaaaa

গত বছর ৩৮০ কোটি মানুষের মোট সম্পদ ১১ শতাংশ কমেছে। অক্সফাম বলছে, ধনী ও গরীবের মধ্যে সম্পদের এই বিশাল ব্যবধানের কারণে দারিদ্র্যের মোকাবিলা করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। আর যা অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করছে।

অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা এক বিবৃতিতে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ এ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’ সরকার স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো খাতগুলোতে অর্থায়ন করছে না কিন্তু ঠিকই বিত্তবানদেরকে অনেক ক্ষেত্রে কর মওকুফ করে দিচ্ছে।

অক্সফামের ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত কয়েক দশক ধরে কর ফাঁকি দিয়ে আসছে। অপরদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়, কোনো ওষুধ ছাড়া চলছে হাসপাতাল। আর এরকম বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে।