• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনামে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি, আল জাজিরা, রয়টার্সসহ বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে পুরান ঢাকার এই অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রচার করছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে চকবাজারের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তাৎক্ষণিক খবর জানানো হচ্ছে। এসব গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনামেই রয়েছে চকবাজারের আগুন।

Bangladesh

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ড : ঐতিহাসিক ঢাকায় আগুনে বহু প্রাণহানি।

এএফপির শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬৯। অপরদিকে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড : কেমিক্যালের দোকান হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭০।

Bangladesh

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রধান শিরোনাম হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীর পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানি। এছাড়া রয়টার্সের শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬।

Bangladesh

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কেমিক্যালের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬৯।

বুধবার রাত ১১টার দিকে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনগুলোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুনে দগ্ধ হয়ে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Bangladesh

মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। চুড়িহাট্টায় ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালেও উদ্ধার কাজ চলছে। ওই এলাকার প্রতিটি ভবনে তল্লাশি চালানো শেষ হলে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।

Bangladesh

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৩টায় ৩৭টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ভবনে হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।