• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নতুন কিছু শুরু করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল : ফারনাজ আলম

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০১৯  

ফারনাজ আলম। অনেকগুলো পরিচয় তার। নিজের প্রচেষ্টা ও যোগ্যতায় অল্প সময়েই পরিচিতি পেয়েছেন ফ্যাশন দুনিয়ায়। একাধারে তিনি ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের সিইও, দেশি কসমেটিকস ব্রান্ড কনা-বাই ফারনাজ আলমের প্রতিষ্ঠাতাও। অল্প বয়সেই তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে খ্যাতি পেয়েছেন একজন বিউটি এক্সপার্ট হিসেবে। নারী দিবসের বিশেষ আয়োজনে জাগো নিউজ ২৪.কম-এর সঙ্গে বলেছেন তার নানা অভিজ্ঞতার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবীবাহ্ নাসরীন-

বিউটি এক্সপার্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে কেন আগ্রহী হলেন? 
ফারনাজ আলম: আমার মা কনা আলমের হাত ধরে গড়ে উঠেছে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড। তাই ছোটবেলা থেকেই এসবকিছু কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। ২০১৫ সালে মালয়শিয়ায় ল'রিয়েল মেকআপ আর্টিস্টদের নিয়ে আয়োজন করে দি ব্রাশ কন্টেস্ট, আমি সেখানে সেরা নির্বাচিত হই। সেখান থেকেই মূলত আগ্রহটা বাড়তে থাকে। এরপর ল'রিয়েলের সঙ্গে দু’বছর ও ম্যাকের সঙ্গে এক বছর কাজ করেছি। মায়ের সঙ্গে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের কাজ করতে করতেই নিজেই শুরু করেছি কনা-বাই ফারনাজ আলম।

এই কাজের শুরুটা আপনার জন্য কেমন ছিল? কখনো কষ্টকর মনে হয়েছে কি না?
ফারনাজ আলম: কষ্ট তো ছিলই, কিন্তু কষ্টটা গায়ে মাখিনি। আমি আর্কিটেক্চারের শিক্ষার্থী ছিলাম। সেখানে পূর্ণ মনযোগের পাশাপাশি এদিকেও মনোনিবেশ করাটাই একটু ডিফিক্যাল্টই ছিল। তবে নিজেকে বোঝাতাম, আমাকে পারতেই হবে। আর এভাবেই সবদিক সামলে চলেছি।

কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা এসেছে কি না?
ফারনাজ আলম: প্রতিবন্ধকতা ছিল না। তবে আমি তো বয়সে তরুণ। এই বয়সে একদম নতুন কিছু শুরু করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল অনেকটা। টিভিতে লাইভ মেকআপ করাসহ বেশকিছু নতুন বিষয় নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন তো নতুন নতুন অনেক মেয়ে আসছে এই পেশায়। তারা স্টাবলিশও হচ্ছে। কিন্তু কয়েকবছর আগেও চিত্রটা ভিন্ন ছিল।

বর্তমানে নিজেকে কতটা সফল মনে করেন? 
ফারনাজ আলম: আসলে সফলতার তো কোনো শেষ নেই। আর একজন মানুষ সফল নাকি ব্যর্থ তা বলার জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন পড়ে। সে হিসাবে আমি তো কেবল শুরুর দিকে। আমি সফল নাকি ব্যর্থ তা বলতে পারবো আজ থেকে বিশ বছর পরে।

প্রচারণার জন্য কী করেছেন?
ফারনাজ আলম: প্রচারণার জন্য আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোই বেছে নিয়েছি। কারণ এসব জায়গায়ই বেশিরভাগ মানুষ সক্রিয় থাকেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখাটাও সহজ হয়। এর মাধ্যমে আমি সহজেই কারও সৌন্দর্য বিষয়ক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারছি, তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি, তাদের ফিডব্যাক জানতে পারছি।

southeast

আগামীর পরিকল্পনা কী?
ফারনাজ আলম: আসলে এখন যেটা হয়েছি সেটাও তো একটা সময় পরিকল্পনায় ছিল বলে্ই হতে পেরেছি। তবে ভবিষ্যতের জন্য কী পরিকল্পনা করেছি তা বলতে চাই না। সেটা যদি কখনো বাস্তবায়ন করতে পারি, তখন সবাই জানতে পারবেন।

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
ফারনাজ আলম: নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। ক্যারিয়ারে অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।

মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়াটা আর্থিকভাবে কতটা লাভজনক? তরুণরা অন্য পেশার বদলে এই পেশায় কেন আসবে বলে মনে করেন?
ফারনাজ আলম: এই পেশায় আসতে হলে সবার আগে নিজের ইচ্ছে থাকা জরুরি। আর এখন তো প্রচুর তরুণ এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিতও। কাজ জানলে অবশ্যই এটি লাভজনক একটি পেশা।

নতুন যারা এই পেশায় আসতে চান তাদের জন্য আপনার কোনো পরামর্শ আছে কী?
ফারনাজ আলম: পরামর্শ এটুকুই, নিজের আগ্রহটুকু থাকতে হবে। আগ্রহ আর প্রচেষ্টা থাকলে অবশ্যই তুমি সফল হবে।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলি। আপনি তো মেকআপ নিয়ে কাজ করেন। নিজে মেকআপ করতে কতটা পছন্দ করেন?
ফারনাজ আলম: আমার কাছে মেকআপ হলো তাই, যা একজন মানুষের বাহ্যিক খুঁতগুলোকে ঢেকে সৌন্দর্যগুলোকে বাড়িয়ে তোলে। কম মেকআপ কিংবা বেশি মেকআপ বলে কিছু নেই, আসলে যার যতটুকু প্রয়োজন। আমার মনে হয়, অল্প মেকআপেই আমাকে সুন্দর লাগে। আর সাজগোজের কথা যদি বলেন, সেক্ষেত্রে মাশকারা আর নতুন নতুন লিপস্টিক আমার পছন্দ। লিপস্টিকের ক্ষেত্রে হালকা রংগুলোকেই প্রাধান্য দেই।

প্রিয় পোশাক?
ফারনাজ আলম: আমি ফ্যাশনপ্রিয় মানুষ। যখন যে পোশাকে মানায়, সেটিই প্রাধান্য দেই। দেশি কিংবা ওয়েস্টার্ন ধাঁচের পোশাক- সবকিছুই আমার ভালোলাগে।

নিজেকে ফিট রাখতে কী করেন?
ফারনাজ আলম: নিয়মিত শরীরচর্চা করি। খাবারের ক্ষেত্রে ভাত, বিরিয়ানিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলি। সবজি, ফলমূল, জুস এগুলোই বেশি থাকে খাবারের তালিকায়।