• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২০  

মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বুধবার দুপুরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান এনডিসি, পিএসসি টিই।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কথা দেন তিনি সে কথা রক্ষা করেন, যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। তিনি বলেছিলেন, ই-পাসপোর্ট চালু করবেন। তিন বছরের মধ্যে তিনি তার দেয়া কথা রাখলেন।

অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এতে প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, ই-পাসপোর্ট হচ্ছে মুজিববর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। বিগত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক এক ঘোষণার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। মানিকগঞ্জ হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের তৃতীয় জেলা। এর আগে গাজীপুর ও গোপালগঞ্জে ই-পাসপোর্ট শুরু করা হয়।

বাংলাদেশে যে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে তাকে এ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাসপোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জার্মানির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তারা জানিয়েছে, জার্মান নাগরিকদের যে উন্নতমানের পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি উন্নতমানের পাসপোর্ট এটি।

এই ই-পাসপোর্ট চালু হলে গ্রাহকদের হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হবে না। চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে সারাদেশ ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আওতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন ই-পাসপোর্টের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। এতে প্রবাসীদের সুবিধা হবে। কারণ, তারা অভিযোগ করেছেন, পাসপোর্ট নবায়ন করতে নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়।

ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে। ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।

ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট ধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ঝামেলাহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যাবে।