• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২  

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের দিয়াবাড়ি বাবুপুর এলাকায় খালের ওপর নির্মিত সেতুটি মেরামত না করায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ২০১৭ সালের বন্যার সময় দু’পাশের মাটি ধসে রাস্তার থেকে নিচু হয়ে গেছে সেতু। ফলে রিকশাভ্যান যানবাহনসহ সব ধরনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে সেতুটি মেরামত না করায় এলাকাবাসি নিজ উদ্যোগে সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পায়ে হেটে কোন রকমের চলাচল করছেন।


হরিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বন্যার প্রবল স্রোতে দু’পাশের মাটি ধসে রাস্তা থেকে সেতু নিচু হয়ে গেছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি নিচু থাকায় স্বাভাবিক বর্ষাতেই পানিতে ডুবে যায়। তাছাড়া সেতুর সংযোগ সড়কে দুইপাশেই মাটি নেই। জনগুরুত্বপূর্ন সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে পরেছে হাজারো জনগণ।
উপজেলার সাটি নওয়াদা এলাকার আব্দুল হালিম বিশ্বাস জানান, গত ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় সেতুটির দুই পাশের মাটি ধসে গিয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পরে। দীর্ঘ চার বছরেও সেতুটি মেরামত করা হয়নি। এতে করে বাবুপুর, যাত্রাপুর, কচুয়া, জামালপুর, ইজদিয়া, খোদানওদা, সাটিনওদাসহ ছয় গ্রামের মানুষ পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে সেতুর পাশে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছেন। কিন্ত এতে পায়ে হেটে পাড় হওয়া গেলেও কোন যনবাহন চলাচল করতে পরছেনা।


খোদানওয়াদা এলাকার মো. মোসলেম বিশ্বাস বলেন, এখানে সেতুটি পুনর্নিমাণ খুব জরুরি। সেতুটির অভাবে জেলা, উপজেলাসহ স্থানীয় হাট-বাজারে বিভিন্ন কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে তিন গ্রাম ঘুরে আসতে হয়। বিশ টাকার গাড়ি ভাড়া একশ’ টাকা দিতে হয়। এতে সময় এবং যাতায়াত খরচ অনেক বেশি লাগে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য জনগুরুত্বপূর্ন স্থানটিতে জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুননির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি করেন তিনি।


স্থানীয় চালা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুস বাসেত বলেন, সেতুর মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হরিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান বলেন, ভেঙে যাওয়া সেতুটির স্থানে ইতোমধ্য ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেতুর কাজ শুরু করা হবে।