• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সিংগাইরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অনুমোদন ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার ও পেট্রোল-অকটেন। প্রত্যন্ত গ্রামের ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে সেলুনেও মিলছে এসব দাহ্য পণ্য। এভাবে যত্রতত্র দাহ্যপদার্থ বিক্রির কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

ঢাকা বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদফতর সূত্র জানায়, খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে একজন বিক্রেতা সর্বোচ্চ ১২ কেজির ১০টি পর্যন্ত এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ রাখতে পারবেন। পেট্রোল বা ডিজেল বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই হাজার লিটার পর্যন্ত মজুদ করতে পারবেন। তবে আবাসিক এলাকায় এ ব্যবসা নিষিদ্ধ। সরেজমিন দেখা যায়, সিংগাইরের পৌর এলাকাসহ ১১টি ইউনিয়নে মুদি দোকান, সেলুন, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, ফটোকপির দোকান, চায়ের দোকানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাড়া-মহল্লা, হাটে-বাজারে বিনাবাধায় বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও জ্বালানি তেল। মানিকগঞ্জ জেলা এলপিজি ব্যবসায়ী (ডিলার) সমিতির সভাপতি সিংগাইরের সেলিম হোসেন বলেন, যে কেউ ১২ কেজির সমপরিমাণের ১০টি বোতল মজুদ রেখে বিক্রি করতে পারেন। আমার লোকজন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এর অধিক বোতল সরবরাহ করে না। কোনো বিক্রেতা তথ্য গোপন করে ১০টির বেশি বোতল মজুদ করলে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। সেটা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন দেখবে।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লাইসেন্স পরিদর্শক আবদুল হামিম বলেন, দাহ্যপদার্থ বিক্রির ক্ষেত্রে অবশ্যই ফায়ার লাইসেন্স নিতে হবে। যত্রতত্র এসব বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে।

বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, খুচরা মার্কেটে যত্রতত্র যেভাবে গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল-অকটেন ও ডিজেল বিক্রি হচ্ছে তার ৯৮ শতাংশই অবৈধ। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে গ্যাস সরবরাহের আগে বিস্ফোরক লাইসেন্স আছে কি না তা দেখে নেয়া উচিত। বিনা লাইসেন্সে কোনো প্রতিষ্ঠান যেন এলপিজি বা দাহ্যপদার্থ বিক্রি করতে না পারে তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যদি সহযোগিতা করে তাহলে কাজটা আমাদের জন্য সহজ হয়।