• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চার বছর আগে ভেঙে পড়া সেতুতে সাঁকো বানিয়ে চলাচল, ভোগান্তি চরমে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় চালা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের একটি সেতু ভেঙে পড়ার চার বছর পরও মেরামত না করায় বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

এতে ওই উপজেলার বাবুপুর ও কৃষ্ণপুরসহ প্রায় পাঁচ গ্রামের স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, প্রসূতি ও রোগীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দিয়াবাড়ি বাজার এবং দিয়াবাড়ি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত ওই সেতুর উপরে বাঁশ একটি সাঁকো বানানো হয়েছে। ওই সাঁকো দিয়ে হেঁটে পারাপর করা গেলেও সাইকেলের মত হালকা যানও চলাচলের উপায় নেই।

সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রিজ না থাকায় চলাচলের জন্য তারা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়েছেন। আবার ওই সাঁকো নষ্ট হলে নতুন করে বানাতে হয়; যা চার বছর ধরে প্রায় প্রতিবছরই করতে হচ্ছে তাদের।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান জানান, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/ কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের বন্যায় সেটি ভেঙে পড়লে চারবছরে তা মেরামত করা হয়নি।

বাবুপুর এলাকার বাসিন্দা আজিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মহীউদ্দিন বলেন, “এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, রিকশা ও ভ্যান পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসী।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বাবুপুর গ্রামের দীপু সাহা জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে খোদানওদা, জামালপুর, বাবুপুর, কচুয়া ও ইজদিয়া, সাপাইর গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে রোগীদের পার করে প্রধান সড়ক থেকে হাসপাতালে নেওয়া অনেক কষ্টের। এলাকার কোন প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়া আরও বেশি কষ্টের। স্কুল আর কলেজের শিক্ষার্থীদের ও দুর্ভোগের শেষ নেই।

দিয়াবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী দীলিপ সাহা বলেন, “কয়েকটি গ্রামের মানুষের কৃষিপণ্য পরিবহনে কষ্টের শেষ নেই। দিয়াবাড়ি বাজারসহ ঝিটকা বাজারে কৃষি পণ্য পরিবহনে সমস্যা বলে কেনাবেচা করতেও সমস্যা হয়। এ ব্রিজটির দ্রুত সংস্কার অথবা নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।”

হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান জানালেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে নতুন ব্রিজ তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিকুজ্জামান বলেন, “ওই জায়গার জন্য ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু তৈরির প্রস্তাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখনও অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।”