• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গ্রামে গিয়ে জীবনের সেরা সময় কাটিয়ে এসেছেন মমতাজ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

মানিকগঞ্জ-২ আসনের (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর) সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। ফোক সম্রাজ্ঞীখ্যাত তিনি। জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে।এখন পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএসের বাড়িতে থাকেন। তবে ঢাকার কর্মব্যস্ত দিন শেষে সময়-সুযোগ মিললেই ছোটেন গ্রামের বাড়িতে। নিজের মতো করে কয়েকটা দিন সেখানে কাটিয়ে আসেন। এবার গ্রামে গিয়ে জীবনের সেরা সময় কাটিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মমতাজ।

সম্প্রতি সিঙ্গাইরের গোলাইডাঙ্গা গ্রামে তাসলিমা জালাল মঞ্চবাড়িতে জীবনের সেরা সেই সময় কাটিয়ে এসেছেন মমতাজ। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত আটটার কিছু সময় পর সেখানে আমন্ত্রিত হয়ে যান তিনি। তিনি প্রায় ৪ ঘন্টা ছিলেন। ফিরে আসেন যখন তখন রাত ১২টা পেরিয়ে গেছে। মমতাজ সেখানে কাটানো সময়ে তার ভালো লাগার অনুভূতি ফেসবুকেও প্রকাশ করেছেন। একটি জাতীয় দৈনিককে তিনি বলেন, তিন ঘণ্টার বেশি কাটানো সেই সময়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেছি আমি। ওই সময়কার অনুভূতি শুধু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়।

ফেসবুকে পোস্ট করা কিছু স্থিরচিত্রে দেখা যায়, মমতাজকে কেউ পালকির আদলে তৈরি একটি বাহনে করে কাঁধে চড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর ঘুরন্তম নামের একটি বাহনে বসিয়ে তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে, আর চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই ছিটাচ্ছেন ফুল। অন্য কোনো স্থিরচিত্রে তাসলিমা জালাল মঞ্চবাড়ির মাঝখানে বসে আছেন মমতাজ, তাকে ঘিরে নাচছেন কেউ। জাদু গায়েন গাইছিলেন বাউল গান।

এ সময় সংগীতশিল্পী মমতাজ বলেন, সত্যিই সত্যিই অন্য রকম মুহূর্ত। ওই সময়টা কোন জগতে ছিলাম, বুঝতেই পারিনি। আমি গ্রামের মানুষ, শহরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে, তাই সুযোগ পেলেই ছুটে আসি গ্রামে। গ্রামের মানুষের সহজ–সরল ভালোবাসা আমাকে পাগল করে দেয়। গ্রামীণ সব ঐতিহ্য আমাকে মুগ্ধ করে সব সময়। মনে হয় এটাই আমি আমার অস্তিত্ব। সব সময়ই ভালো লাগে, তবে এবার একটু বেশি ভালো সময় কেটেছে আমার।

১৯৭৪ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই সুর সম্রাজ্ঞী। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংসদ সদস্য মনোনীত হোন মমতাজ বেগম। পরে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন।