• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সিংগাইরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে ভারসাম্যহীনকে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

মানসিক ভারসাম্যহীণকে আশ্রয় দিয়ে ভরণ-পোষণ ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তার জমি ভোগদখল ও প্রতারনা করে লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক কথিত চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মৃত. আব্দুর রহিম খানের ছেলে নয়ন খানের তালাবদ্ধ ঘর থেকে আনিসকে (৫৫) উদ্ধার করেন সিংগাইর থানা পুলিশ।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। 

 স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজিন্দা এলাকার মৃত. চাঁন খানের একমাত্র ছেলে আনিস খান কয়েক বছর আগে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীণ হয়ে পরে। এ সুযোগে প্রতিবেশী কথিত চাচাতো ভাই নয়ন খান, আনিস খানকে সুস্থ করে তুলবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে আনিস খানের জমি ভোগদখল করতে থাকেন এবং ভারসাম্যহীণ আনিসকে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করাতে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় তার উপর নির্যাতনও চালিয়েছেন বলে দাবী স্থানীয়দের ।

আরো জানা যায়, আনিস খানের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১০৬ শতাংশ জমি হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দিযেছেন ওই রক্ষক হয়ে বক্ষকের ভূমিকা পালনকারী ভূমিখেকো নয়ন খান। একজন ভারসাম্যহীণের জায়গা কিভাবে হস্তান্তর হয় তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন । বর্তমানে আনিস খানের একমাত্র ভাগ্নী সালেহা বেগম ছাড়া বংশধর বলতে তেমন কেউ বেঁচে নেই। তিনি বিষয়টি জানিয়ে সিংগাইর থানায় একটি অভিযোগ দিলে ধল্লা ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন তালাবদ্ধ ঘর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীণ আনিস খানকে উদ্ধার করে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন ।

আনিস খানের ভাগ্নী সালেহা বেগম বলেন, মামা আমার বাড়িতে ছিলেন। জমি দখল করার উদ্দেশে তাকে নয়ন খান নিয়ে যায়। তাকে দিয়ে অনেক কাজ করায়, বেশীকাজ করতে না পারলে তার ওপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন । তার আপনজন নিয়ে যাবে বলে তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখেছে।

এ ব্যাপারে আনিসের মামা শামসের খান বলেন , দীর্ঘদিন যাবত আমার ভাগ্নেকে নয়ন খান শুধুমাত্র জমিগুলো ভোগ দখল করার জন্যই আটকে রেখেছেন ।

এ বিষয়ে নয়ন খান বলেন, আনিস আমার চাচাতো ভাই। তাকে দেখাশুনা করার জন্য আমি এনেছি। সে আমাকে জমি দিয়েছে। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তার কোন সমস্যা হতে পারে বলে তাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছি। তিনি নির্যাতনের কথাও অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে নয়ন খানের তালাবদ্ধ ঘর থেকে আনিসকে উদ্ধার করে তার ভাগ্নী সালেহা বেগমের জিম্মায় দিয়েছি। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিত্সা করতে বলা হয়েছে। 

সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দায়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।