• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে ধান কাটা শ্রমিকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২  

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের গর্জনা গ্রামের পানি সেচ ঘর থেকে আরিফ নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত আরিফ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের ঝিলিম কবিরাজের ছেলে। সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক একই ইউনিয়নের ব্রাক্ষন্দী গ্রামের মো. মেহের আলী শেখের ছেলে মানিক ওরফে হৃদয়, সহযোগী বাবুল হোসেন ও কৃষক ইউনুছ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার ধামরাই উপজেলার দ্বিমুখা গ্রামের ইউনুছ আলী বোরো ধান কাটার জন্য মানিকগঞ্জ শ্রমিক হাট থেকে আরিফ, মানিক ওরফে হৃদয় ও বাবুলকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন বোরো ধান কাটার জন্য। শ্রমিকদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে।

সোমবার সকালে খাবার খেয়ে শ্রমিক হৃদয়, বাবুল ও আরিফ ধান কাটতে গর্জনা গ্রামের ক্ষেতে যান। দুপুরে ক্ষেতের পাশে একটি মেশিন ঘরে তারা তিনজনে মিলেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হৃদয় আরিফকে ধারালো কাস্তে দিয়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।

শ্রমিক হৃদয় বলেন, ‘আরিফ আমার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সে এলাকার অনেকের ক্ষতি করেছে। এ জন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করি অনেক আগে থেকেই।  কিন্তু সুযোগ না পেয়ে শ্রমিক হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে এসে তাকে কাস্তে দিয়ে জবাই করি।’

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গলা কেটে হত্যার খবর শুনে ফোর্স নিয়ে আমি নিজে গর্জনা গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের কোন শত্রুতা ছিল তাদের মধ্যে। এ ঘটনায় হৃদয়, বাবুল নামে দুই শ্রমিককে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া বাড়ির মালিক ইউসুফ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।