• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শ্রমিক হত্যার ২৪ ঘন্টায় আদালতে চার্জশিট

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২  

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ধানকাটা শ্রমিক আরিফ কে হত্যা মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে মামলার  চার্জশিট প্রদান করেছে সাটুরিয়া থানা পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত সোমবার (১৬ মে) দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের গর্জনা (বেলতলী) সাকিনস্থ বেলতলী মৌজার চকে জনৈক শামসুর রহমান ওরফে লোটন এর সেচ মেশিন ঘরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দৌলতপুর উপজেলার ব্রাম্মন্দী গ্রামের মেহের আলী শেখ এর পুত্র হৃদয় ওরফে মানিক (২৫) একই ইউনিয়নের আরিফ শিকদার (২৩) কে ধান কাটার ধারালো কাচি দিয়ে গলায় পোচ মেরে শ্বাসনালীসহ গলার সামনের অংশে হাড় পর্যন্ত কেটে হত্যা করে।

ঐ সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে চকে কৃষিকার্যে ব্যাস্ত থাকা স্থানীয় লোকজন হত্যাকারীকে ধারালো কাচিসহ হাতেনাতে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে সাটুরিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামীকে হেফাজতে নেয়। মৃত দেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ঘটনাই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে সাটুরিয়া থানার মামলা নেওয়া হয়। যার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৬/০৫/২০২২ । মামলার পর আসামী হৃদয় ওরফে মানিক কে গ্রেফতার দেখিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, যে,প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর আগে তার বউকে আরিফ ভাগিয়ে দিয়েছিলো। এ নিয়ে আরিফের প্রতি আসামীর প্রতি ক্ষোভ ছিল।

এ অবস্থায় ধান কাটার ধারালো কাচি দিয়ে গলায় পোচ মেরে আরিফ শিকদার (২৩) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সাটুরিয়া থানা পুলিশ আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামী ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে মৃতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ মামলাটির যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্ত শেষে ন্যায়বিচারের স্বার্থে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত আসামীর বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ধান ক্ষেতের কৃষক ইউনুস আলী ও আরেক শ্রমিক বাবুল কে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাধ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।