• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুলে সাবিনা আক্তার (২০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রসূতি উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের টাকিমারা গ্রামের মোখলেছ মিয়ার স্ত্রী ও জয়মন্টপ ইউনিয়নের উত্তর বাহাদিয়া গ্রামের সকেল উদ্দিনের মেয়ে।

রবিবার (২২ মে) ভোরে সিংগাইর পৌর এলাকার ভাষা শহিদ রফিক সড়কে অবস্থিত বেসরকারি সিটি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।


প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবিনার প্রসব ব্যথা উঠলে শনিবার রাত ১১টার দিকে তাকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৩টার দিকে চিকিৎসক ডা. ইমা বিনতে ইউনুছকে ডেকে এনে তার অস্ত্রোপচার করানো হয়। তিনি একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। অস্ত্রোপচারের পরই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।


নিহতের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম দাবি করেন, ‘চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে অধিক রক্তক্ষরণে অপারেশন থিয়েটারেই সাবিনার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা দেখতে চাইলেও নার্সরা দেখতে দেয়নি। রোগীকে দেখতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের লোকজন আমাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে মারতে আসে। পরে বেলা ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে এনে আমার ছেলের বউকে মৃত অবস্থায় ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়।’

হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম স্বপন প্রসূতির মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রসূতি সাবিনা একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। সে শ্বাসকষ্ট ও রক্তশূন্যতায় ভুগছিল। আমরা প্রথমে তার নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করেছিলাম। নরমাল ডেলিভারি না হওয়ায় তার মায়ের লিখিত অনুমতিক্রমে রাত ৩টার দিকে ডা. ইমা বিনতে ইউনুছকে ডেকে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর অস্বাভাবিক আচরণ করে। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট ও অতিরিক্ত রক্তশূন্যতা দেখা দিলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে ডা. ইমা বিনতে ইউনুছের মোবাইল ফোনে একাধিকবার করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে এরকম কিছু ঘটলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।