• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘিওরে কৃষিতে বাড়ছে যন্ত্রের ব্যবহার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২  

মানিকগঞ্জের ঘিওরে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ইরি বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের চেয়ে সময় ও খরচ কম হওয়ায় দিন দিন এ মেশিনের ব্যবহার বাড়ছে। এতে কৃষকরা শ্রমিকসঙ্কট কাটিয়ে উঠে কম সময়ে যেমন ফসল ঘরে তুলতে পারছেন, তেমনি উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন। চাহিদানুযায়ী মেশিন না থাকায় কৃষকদের এখনো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

বাণিজ্যিকভাবে এই মেশিনের মাধ্যমে ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটার পাশাপাশি মাড়াই-ঝাড়াই করা হয়। ফলে কৃষকের মজুরি সাশ্রয় হচ্ছে। এখন কৃষক ধান অল্প সময়েই মাঠ থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছেন।

মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে অত্যধিক জনসংখ্যার বিপরীতে সীমিত কৃষিজমিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যয় কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হলে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা।

ঘিওর সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক মুন্নাফ মিয়া বলেন, মেশিন দিয়ে ধান কাটায় আমাদের খুব উপকার হচ্ছে। তিন বিঘা জমির ধান মেশিন দিয়ে কাটায় ছয় হাজার টাকা লাগল। অথচ শ্রমিক দিয়ে ধান কাটলে আমার ১৫-১৬ হাজার টাকা লাগত।

বালিয়াখোড়া হারভেস্টার মেশিনের চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, এ মেশিন দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অধিক জমির ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়। কিন্তু চাহিদানুযায়ী আমরা মেশিন দিতে পারছি না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ও তাদের উৎপাদনখরচ কমাতে সরকারি প্রণোদনায় ভর্তুকিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার মেশিন, পাওয়ার থ্রেশারসহ অন্য যন্ত্রপাতি বিতরণ করেছি। এ যন্ত্র দিয়ে কৃষক খুব কম সময়ে জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কৃষক যেন উৎসাহিত হয়ে আরো বেশি আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। এতে তারা বেশি লাভবান হবেন।