• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে কামারশালায় দম ফেলার জো নেই কারিগরদের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২  

মানিকগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য দরকারি সরঞ্জামের জন্য কামারপাড়ায় ভিড় করছে মানুষ। কেউ নতুন ছুরি-বঁটি কিনছেন আবার কেউ পুরনোটা শানিয়ে নিচ্ছেন। ফলে সারাবছর তেমন কোনো ব্যস্ততা না থাকলেও এখন দম ফেলার জো নেই কামারদের।
হরিরামপুর, শিবালয় ও ঘিওর উপজেলার কয়েকটি কামারশালায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। আগুনে পুড়িয়ে, লোহা গলিয়ে ছুরি, বঁটি, চাপাতির মতো বিভিন্ন সরঞ্জাম বানানোয় ব্যস্ত কামারশালাগুলোতে টুংটাং শব্দ চলছেই।

কথা হয় হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের কামারপাড়ার দীলিপের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এখন আগের মতো তেমন কাজ হয় না। ছোট সময় আমার দাদুকে অনেক কাজ করতে দেখেছি। বাবা আর দাদুকে সারা রাতও কাজ করতে দেখেছি।”

“তবে কোরবানির ঈদের সময় বেচাকেনা বাড়ে। ঈদের দুই-একদিন আগে ছুরি, চাপাতি বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। এখন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।”
একই এলাকার সাগর কর্মকার বলেন, “এলাকায় যারা কোরবানি দেন তারা নিজেরাই নিজেদের কোরবানির কাজ করেন। ফলে মৌসুমি কসাইদের ছুরি-চাপাতি ব্যবহার হয় বছরে এই একবারই।”

তবে লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় ছুরি, বঁটি ও চাপাতির দাম এবার কিছুটা বেশি বলে জানালেন কাণ্ঠাপাড়া বাজার সংলগ্ন যাত্রাপুর এলাকার কামার বাসুদেব কর্মকার।
তিনি বলেন, “প্রতি কেজি লোহায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়তি। কয়লার দামও অনেক বেড়েছে।”

ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া এলাকার কারিগর নরেশ দাস বলেন, “লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় দা, চাকু, চাপাতি, ছোরাসহ বহু সরঞ্জাম তৈরি করতে পারছি না। সব কিছুর দাম বাড়ায় ক্রেতাও কমে গেছে।”
“তারপরও কোরবানি ঈদে আমাগো ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আয় ভাল হয়। এই ঈদের আয় দিয়ে আমাদের কয়েক মাস চলতে হয়।”

শিবালয় উপজেলার উথলি এলাকার হারু কামার বলেন, “শেষ সময়ে মৌসুমি কসাইরা তাদের ছুরি-চাপাতি নিয়ে আসছেন সেগুলোকে ঠিকঠাক করে আবার নতুন করে তুলতে। তাই নতুন সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি পুরোনো সরঞ্জাম মেরামতের ব্যস্ততাও বেড়েছে।”