• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

*তারেক-মিশুককে স্মরণ-

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২  

মানিকগঞ্জে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে।


 শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের ঘিওরের জোকা এলাকার দুর্ঘটনাস্থলের স্মৃতিস্তম্ভের পাশে যৌথভাবে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব,তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া রেললাইন বাস্তাবায়ন আন্দোলন কমিটি ও বারসিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে  বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হয়।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন, মানববন্ধন, বৃক্ষরোপন,স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসুচী পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। 

এছাড়া এ কর্মসূচি থেকে ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া সড়ক চারলেনসহ রেললাইন সংযোগের দাবি জানানো হয়।

মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, বারসিকের জেলা সমন্বয়কারী বিমল রায়, তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আব্দুল মোমিন, ঘিওর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক রাম প্রসাদ দিপু, রেইনবো থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা গিনি আলম,বারসিক প্রতিনিধি সুবীর সরকার, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

মানববন্ধন শেষে বানিয়াজুরী এলাকায় তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের স্মিতি ফলকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।


উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট সকালে ‘কাগুজের ফুল’ সিনেমার সুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ, তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৯ জনের একটি দল।  মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে -আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তাদের মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে বিপরীত গামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, প্রডাকশন সহকারী ওয়াসিম, জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ৫জন নিহত হন। 

এ দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।

এ ঘটনায় মামলা হলে আদালত বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন করাদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া ক্ষতিপূরণ মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন আছে।