• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনে তৎপর ব্যারিস্টার মওদুদরা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

বেগম জিয়ার কারাবরণ, জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়, শপথ গ্রহণ ও বর্জন নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের রাজনীতিতে মিলছে বড় ধরণের পরিবর্তনের আভাস। বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত করতে এবং নতুন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদায় করতে সম্মিলিত শক্তি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিরোধী শক্তিগুলো।

বিএনপি ও একাধিক রাজনৈতিক জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলোর বিষয়ে জানা গেছে।

শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠন করার বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করে বিএনপির একজন সংস্কারপন্থী সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষে এককভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই নিজ প্রয়োজনেই বিএনপি শক্তিশালী বিরোধী দলীয় ফ্রন্ট গঠন করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে এই জোটে জামায়াতের অদৃশ্য উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা। সমালোচনা হলেও জামায়াতকে ছাড়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি এখনও। তাই বিএনপি গোপনে জামায়াতকে সঙ্গী রেখেই এই নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে এক ধরণের অস্থিরতা চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই ব্যারিস্টার মওদুদ, গয়েশ্বর চন্দ্র, মির্জা আব্বাসদের মতো সিনিয়র নেতাদের কাজে লাগিয়ে জোট গড়তে আগ্রহ দেখিয়েছে বিএনপি। এছাড়া শুনেছি, যারা ২০ দলীয় জোট ছেড়েছে এবং জোট ছাড়ার পরিকল্পনা করছে বিশেষ করে বিজেপি, লেবার পার্টি, কল্যাণ পার্টির মতো অসন্তুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোকে বাগে আনতে নতুন করে মাঠে নামছেন ব্যারিস্টার মওদুদরা।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের পথে বিএনপি একা হাটতে চায় না। এটিকে আবার বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা ভাবার কোন কারণ নেই। বিএনপি সব সময় জোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ঈদ পরবর্তী রাজনীতির মাঠে নতুন কিছু চমক দেখাতে নতুন জোটের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।

ঈদের পরে আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুটা সময় নিয়ে মওদুদ বলেন, আসলে আমাদের কারণেই বিএনপি আন্দোলন বিমুখ হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের নামে আমরা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মশকরা করেছি, এই কড়া সত্য কিন্তু কেউ অস্বীকার করতে পারব না। সুতরাং দুঃখের কথা বলে লাভ নেই। ঈদের পর যদি ব্যর্থ হই তাহলে বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে অন্তত আমি কোন কথা বলবো না আর। দলের নেতা-কর্মীরা শেষবারের মতো আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন।