• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শপথ না নেয়া ফখরুলের ভুল, উপনির্বাচনে হারতে পারে বিএনপি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক : আগামী ২৪ জুন ভোটের দিন রেখে বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জয় লাভ করেও শপথ গ্রহণ না করায় তা শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচন দিয়েছে ইসি। বিএনপি অধ্যুষিত এ আসনটিতে ফখরুলের শপথ না নেয়া বড় ভুল প্রমাণ হতে চলেছে। কেননা, উপনির্বাচনে এই আসনটি হারাতে হতে পারে বিএনপির।

প্রাথমিকভাবে উপনির্বাচনের ওই আসনটিতে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনকে মনোনীত করা হয়। পরে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। সূত্র বলছে, সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত সিরাজের বিএনপিতে নেতিবাচক ইমেজ রয়েছে। কেননা, বিএনপি থেকে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার পরিকল্পকদের মধ্যে একজন ছিলেন সিরাজ। ফলে কেন্দ্রীয় বিএনপি বগুড়া-৬ আসনে সিরাজকে মনোনীত করলেও সিরাজবিরোধী মনোভাবের কারণে এই আসনটি হারাতে হতে পারে বিএনপির।

কেননা, গত ১৫ মে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি সংস্কারপন্থী নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে আহ্বায়ক করে বগুড়া জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়। বগুড়া জেলা বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, বিতর্কিত হয়েও কেবল অর্থ-বিত্তের প্রভাবে সিরাজকে মনোনীত করেছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্তের জেরে কমিটি না মানার ঘোষণা দেয় বিএনপি। জেলা বিএনপির অফিসে তালা ঝোলানো এবং সিরাজের কুশপুতুলও দাহ করা হয়।

এমন প্রেক্ষাপটে সিরাজবিরোধী মনোভাব শুধু জেলা বিএনপিতে নয়, উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বগুড়া-৬ আসনে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় নেতারা বলছেন, সিরাজের জন্য এই আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত হওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। বগুড়া জেলা বিএনপি ও ৬ আসনের খুব কম কর্মীই আছে যারা সিরাজকে পছন্দ করেন। সুতরাং নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে হারানো শুধু কঠিনই নয়, কঠিনতর হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে বগুড়া-৬ আসনের একজন নেতা বলেন, সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত সিরাজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে হেরেছে। সম্প্রতি তাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে বসানো নিয়ে সিরাজবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাকে মনোনীত করা দলের উচিৎ হয়নি। এতে ঐতিহ্যবাহী বিএনপির এই আসনটি হারানোর সমূহ আশঙ্কা তৈরি হলো।