• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মনোনয়ন বঞ্চিত মিন্টুকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিলেন তারেক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮  

 মানি লন্ডারিং ও সম্পদ গোপনের মামলায় থাকায় এবং অজনপ্রিয়তা বিবেচনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য বানিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালের বরাতে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল বলেন, ফেনী অথবা ঢাকার একটি আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করার কথা ছিলো আমার বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টুর। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার বাবাকে বিএনপির তরফ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমার বাবা বেশ মনঃক্ষুণ্ণ হন। সারা জীবন দল করেও মূল্যায়িত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। আবদুল আউয়াল মিন্টুর বিরুদ্ধে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা তারেক স্যারকে অভিযোগ করেছেন। আমার বাবার বিরুদ্ধে নাকি মানি লন্ডারিং ও সম্পদ গোপন করার মামলা রয়েছে। কষ্ট লাগে, মানি লন্ডারিং মামলা শুধু দলের সেবা করার জন্য দায়ের করা হয়েছে। রাজনীতি করতে গেলে মামলার শিকার হতে হয়, এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে দুঃখের মধ্যে কিছুটা আনন্দেরও খবর আছে। বুধবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে বাবাকে লন্ডন থেকে ফোন করে সান্ত্বনা দেন তারেক স্যার। আবদুল আউয়াল মিন্টুকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য বানিয়ে তাকে নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কাজ করার আদেশ দিয়েছেন তারেক স্যার। এছাড়া তারেক স্যার বাবাকে কথা দিয়েছেন যে, নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে তাকে সম্মানিত করা হবে। আবদুল আউয়াল মিন্টু মন্ত্রিত্ব পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

বিষয়টিকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে দলটির সংস্কারপন্থী নেতা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, আবদুল আউয়াল মিন্টু একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে। এছাড়া আউয়াল পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাসে জয়ী হওয়ার নজির নেই। সেসব বিবেচনা করে তারেক স্যার সান্ত্বনা দেয়ার জন্যই মিন্টু সাহেবকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক কমিটির সদস্য বানিয়েছেন। বিষয়টি ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো’র মতো। একেবারে কিন্তু খালি হাতেও ফেরেননি মিন্টু সাহেব। শুনেছি নির্বাচনে জয়ী হলে বড় পদ দেয়া হবে উনাকে। শেষ বয়সে এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে মিন্টুর জন্য!