• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফের বিক্ষোভে উত্তাল খালেদার কার্যালয়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়। রোববার সকালে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির তিনটি ফটকের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের ফটক আটকে বসে আছেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. আবদুল্লাহর সমর্থকরা। মাথায় সাদা কাপড়ের ব্যান্ড লাগিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি ফটকে লাথি ও ধাক্কা মারতে দেখা যায় তাদের কাউকে কাউকে। ওই জটলা থেকে চিৎকার করে বলা হাচ্ছিল – ‘আমরা আবদুল্লাহ ভাইকে চাই, অন্য কাউকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মেনে নেব না।’

এ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মী সোহেল বলেন, শাহ মোয়াজ্জেমের বয়স হয়ে গেছে। এলাকায় যান না। তার সাথে কর্মীদেরও যোগাযোগ নেই। এই আসনে একজন সার্বক্ষণিক নেতাকে মনোনয়ন না দিলে আসন পাওয়া কঠিন হবে।

কার্যালয়ে আরেকটি ফটকের সামনে বসেছে কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মনজুরুল আহসান মুন্সির সমর্থকরা। এই আসনে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন জাতীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।

বিক্ষোভকারী দলের কর্মী হাসান বলেন, মুন্সি ভাই কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির নেতা। তিনি চারবারের সংসদ সদস্য। তাকে বাদ দিয়ে যাকে দেওয়া হয়েছে তিনি কখনও এলাকায় যান না। আমরা তাকে চিনি না, তাকে আমরা মানি না। অবৈধ নমিনেশন মানি না। এ দলের বিক্ষোভকারীদের অনেকের মাথায় সাদা কাপড় বাঁধা দেখা যায়।

যদিও বেলা ১১টার দিকে কার্যালয়ের ভেতর থেকে মাইকে বলা হয়- ‘আজকে অফিস বন্ধ । এখানে জটলা করে কোনো লাভ নেই’।

এ ঘোষণা শোনার পর বিক্ষোভকারীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কার্যালয়ের ফটকে লাথি দিতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

এর আগে, শনিবার বিকেলে চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনহ এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, গোপালগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত সেলিমুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকরা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং কার্যালয় ভাঙচুর করেন। তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন, ইটপাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে যায়। রাতেও তাদের এই বিক্ষোভ চলছিল।

তাদের ওই হামলার মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা ওই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে মধ্যরাতে কার্যালয় ছাড়েন তারা।