শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ছক
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ছক সাজিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় সাধারণ এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকা এবং উপকূলীয়, দুর্গম ও পার্বত্য এলাকার ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
সাধারণ এলাকার ভোট কেন্দ্রের পাহারায় একজন পুলিশসহ ১৪ জন, মেট্রোপলিটন এলাকার ভোট কেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার ভোট কেন্দ্রে দুইজন পুলিশসহ ১৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এবারই প্রথমবার গ্রামপুলিশ সদস্যদের ভোট কেন্দ্রের পাহারায় নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
ভোট কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন। তারা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনা কক্ষে ঢুকতে পারবেন না। অবশ্য রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চাইলে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমের সদস্যরা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আচরণবিধি প্রতিপালনে দেড় হাজারের বেশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। সবমিলিয়ে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য মাঠে নামছেন। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন এবং ৩০০ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩টি।
র্যাব সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন। ফাইল ছবি
র্যাব সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন। ফাইল ছবি
ইসি সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ১৩ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদন অনুযায়ী ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্রের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেবে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, নির্বাচনে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হবে। ১৩ ডিসেম্বর আইশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত দুটি নির্বাচনের মতো এবারও ভোট কেন্দ্রে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আদলে এবারের ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে সেনা ও অন্যান্য বাহিনী মোতায়েনে সংখ্যার ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য আনা হচ্ছে। তারা বলেন, এবার ভোট বর্জনে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায় সহিংসতা কম হবে ধরে নিয়েই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা : জানা গেছে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট গ্রহণের আগে ও পরে ভিন্ন মেয়াদের জন্য সেনা, র্যাব ও পুলিশসহ অন্য বাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছে ইসি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে সবমিলে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তারা ভোটের পর দুই দিনসহ সবমিলে চারদিন মাঠে থাকবেন।
ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা : পরিকল্পনা অনুযায়ী, মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতি ভোট কেন্দ্রের পাহারায় থাকবেন ১৬ জন সদস্য। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য তিনজন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন ও একজন গ্রামপুলিশ। এসব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোয় পুলিশের সংখ্যা দুইজন বাড়িয়ে মোট ১৮ জন রাখা হবে। অপরদিকে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের ভোট কেন্দ্রগুলোয় একজন পুলিশ সদস্যসহ ১৪ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন সদস্য রাখা হবে। পার্বত্য এলাকা, দুর্গম ও দ্বীপাঞ্চলের ভোট কেন্দ্রগুলোয় দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৫ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্য একজন বাড়িয়ে ১৬ জন মোতায়েন করা হবে।
ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোট গ্রহণের দুইদিন আগে এবং ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিনসহ চারদিন মাঠে থাকবেন। আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন পরের দিন পর্যন্ত।
নোডাল পয়েন্টে থাকবেন সেনা ও নৌসদস্যরা : বেসরকারি প্রশাসনকে সহায়তায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সারা দেশে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে। তবে উপকূলবর্তী এলাকায় মোতায়েন থাকবে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট (সংযোগস্থল) এবং সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান করবেন। রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে তারা অন্য প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে। রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং অফিসার না চাইলে তারা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনা কক্ষে যাবেন না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও একইভাবে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করেছিল ইসি। তবে ২০০৮ সালে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়।
ভোটারদের নিরাপত্তায় আরও যা থাকবে : ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভোটারদের যাতায়াতের পথ নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহল দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে প্রয়োজনে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হতে পারে। ভোট কেন্দ্রে ফল প্রকাশের পর তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। দুর্গম এলাকার ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের যাতায়াতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হবে। ভোটের দিন যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
প্রথমবারের মতো গ্রামপুলিশ : ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রথমবারের মতো নির্বাচনে গ্রামপুলিশ (দফাদার ও চৌকিদার) সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের ৪৫ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ১০ জন করে মোট ৪৫ লাখ গ্রামপুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদের ভোট গ্রহণের আগের দিন ও ভোটের দিন কেন্দ্রের পাহারায় রাখা হবে।
- পাবনায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি
- ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার
- শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
- নিয়ন্ত্রণে শিশু হাসপাতালের আ*গু*ন
- সংঘবদ্ধ ধর্ষণ গ্রেপ্তার ৫
- ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
- দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
- পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির কারখানা চালু
- বৈশাখে ঘুরতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
- গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২
- ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিএনপি
- দেবে যাচ্ছে বেইলি সেতুর পাটাতন
- ২ বন্ধুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
- কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত ৪, আটক ২
- ভোজ্য তেল বিক্রি হবে আগের দামেই
- ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকায় আসছেন
- ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
- মাদকের টাকায় সম্পদের পাহাড়
- চিকিৎসকের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার দাবি
- তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে
- পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরো ১৭ জন
- পরিস্থিতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ভূমি অফিসে তদবির করতে গিয়ে আটক
- কেরানীগঞ্জে ৯ প্রার্থী মনোনয়ন জমা
- মানিকগঞ্জে বৈশাখী মেলায় লোকজ নানা আয়োজন
- যুগান্তরের মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান
- মানিকগঞ্জে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- গঙ্গাস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
- ধানে হাসছে হাওর
- বৃষ্টির আভাস নেই
- গঙ্গাস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
- ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিএনপি
- ভূমি অফিসে তদবির করতে গিয়ে আটক
- তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে
- সাভারে এসি বিস্ফোরণ, দুজন দগ্ধসহ আহত ৫
- শিল্পী সমিতির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
- ভোজ্য তেল বিক্রি হবে আগের দামেই
- ধানে হাসছে হাওর
- সংঘবদ্ধ ধর্ষণ গ্রেপ্তার ৫
- বৃষ্টির আভাস নেই
- মানিকগঞ্জে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- কেরানীগঞ্জে ৯ প্রার্থী মনোনয়ন জমা
- মানিকগঞ্জে বৈশাখী মেলায় লোকজ নানা আয়োজন
- নিয়ন্ত্রণে শিশু হাসপাতালের আ*গু*ন
- সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে ২ মে
- ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
- সাতসকালে সড়কে ঝরলো ১২ প্রাণ
- হিজবুল্লাহর হামলা
- ওমরাহ ভিসার নিয়ম পরিবর্তন
- যুগান্তরের মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান