• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে ক্ষমতা আরোহণের পাঁয়তারায় সফল হচ্ছেন ফখরু

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেছেন উচ্চ আদালত। অন্যদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়সহ একাধিক মামলায় সাজার দণ্ড নিয়ে লন্ডনে পলাতক জীবন যাপন করছেন তারেক রহমান। জনসম্মুখে বিএনপি সর্বদা এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ভেতরে ভেতরে একাধিক সিনিয়র নেতা অত্যন্ত খুশিতে রয়েছেন।

মূলত, খালেদা-তারেককে সরিয়ে দলের কাণ্ডারি হবার শখ বিএনপির দুই সিনিয়র নেতার মাঝে লক্ষ্য করা গিয়েছে ব্যাপকহারে। তারা হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ও মওদুদ আহমেদ।

বলা হয়ে থাকে, সুযোগ থাকার পরেও রাজনৈতিক বুদ্ধি খাটিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার জন্য কোন তাগিদ দেয়নি সিনিয়র আইনজীবী মওদুদ আহমেদ। এ জন্য তাকে একাধিকবার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছ থেকে বকাও খেতে হয়েছিলো, কিন্তু তিনি তার রাজনীতিতে অটল ছিলেন।

এদিকে, মওদুদ আহমেদ যত গেম খেলেছেন, পেছন থেকে তার সমস্ত কলকাঠি নেড়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের পরিকল্পনামাফিক বর্তমানে খালেদা-তারেক মাইনাস হয়ে দলের প্রধান হর্তাকর্তার দাবিদার হিসেবে মির্জা ফখরুলের বদনখানি দৃশ্যমান হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন নয়’- এই নীতি থেকে সরে আসার পর থেকে বিএনপিতে একটি রাজনৈতিক পালাবদলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। এর কিছুদিন পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত এলে ঐক্যে ড. কামালসহ বেশকিছু নেতার তোড়জোড় চোখে আসে। কিন্তু মির্জা ফখরুলের বিচক্ষণতায় ড. কামালদের উপর ভর করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলেও আসন বণ্টনসহ সকল ক্ষেত্রেই ফখরুল-মওদুদের বিএনপিতে খুব একটা পাত্তা পায়নি খালেদা, তারেক ও ড. কামালের মতো নেতারা। দলটি যুগ যুগ থেকে দুই ভাগে বিভক্ত থাকলেও বর্তমানে মির্জা ফখরুলের কারণে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দৃশ্যমান হলো। অপরদিকে খালেদাকে মাইনাসের রাজনীতি অনেকটাই পোক্ত হলো।