• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোনয়ন বাণিজ্যে পিছিয়ে নেই ডা.জাফরুল্লাহ, সুব্রত চৌধুরীর আসনে হাত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

২০ দলীয় জোট তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ছত্রভঙ্গ অবস্থায় পতিত হয়েছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িয়েছেন জোটের নেতারাও। আর তা থেকে পিছিয়ে নেই নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহও।

জানা গেছে, ঢাকা-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর আসনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন একজন নেতা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির ত্যাগী নেতা এবং সাবেক সাংসদ সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে ওই আসনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে লবিংয়ের কাজ করছেন ডা. জাফরুল্লাহ। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি আর্থিক চুক্তিও হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এই লবিং করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এই নেতা।

সূত্র বলছে, মনোনয়ন পাওয়া ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে ওই আসনের মনোনয়ন হস্তান্তর করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ড. জাফরুল্লাহ। এর বিনিময়ে সুব্রত চৌধুরীকে সরকারের মন্ত্রী করানোর প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। প্রথমদিকে এ আলোচনায় সুব্রত চৌধুরী নাখোশ থাকলেও পরে তিনি সে অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে বলেও জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ওই নেতা বলেন, আসনটি কোনোভাবেই ছাড়তে রাজি নন অসুস্থ সাদেক হোসেন খোকা। তিনি ওই আসনে ছেলে ইশরাককে প্রতিষ্ঠা করতে চান। আর ছেলেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একাদশ জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এবার আসনটি হাতছাড়া করতে চান না তিনি। আর এ কারণেই লবিং হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ডা. জাফরুল্লাহ ভাইকে। আসনটি ছেড়ে দিতে কিছুটা নমনীয় অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীও।

প্রসঙ্গত, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খোকাপুত্র ওই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও গোপনে ডা. জাফরুল্লাহর লবিংয়ের মাধ্যমে সুব্রতর মনোনয়ন হস্তগত করে ঢাকা-৬ আসনে নির্বাচন করতে চান তিনি। এরইমধ্যে ঋণখেলাপির দায়ে নির্বাচন অযোগ্য হলেও আপিলের মাধ্যমে তা ফিরে পাবার সম্ভাবনা থেকেই এই তৎপরতা হাতে নিয়েছে খোকা পরিবার।