• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মানুষকে ‘তন্ময়’ করেছেন তন্ময়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানুষকে তন্ময় করে রেখেছেন তন্ময়। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, ভিড় জমে যাচ্ছে। হাত নাড়ছেন তিনি, হাততালি দিচ্ছেন সবাই। তিনি তখন ভুলে যান- বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বড় ফুপু, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই দুই যুগের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ শেখ হেলাল উদ্দীন তার বাবা। মুগ্ধ তিনি মানুষের মুগ্ধতায়। এসব নিয়েই ভোটের মাঠে নেমেছেন বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সারহান নাসের তন্ময়। রাজনীতির এ পথে নেমেই আলোচনার  একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে তন্ময়। নির্বাচনী এলাকার যে প্রান্তেই যাচ্ছেন, মানুষের উজ্জীবতা, তাকে একনজর দেখার আকুলতা। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেওয়া শেখ তন্ময়কে সবাই দেখেন আর ভাবেন- এত অল্পবয়সী! অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন- এত কম বয়সের কোনো প্রার্থীকে এত দ্রুত এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে দেখেননি তারা কখনও।

বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭ প্রার্থী। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ আর বিএনপিতে।

নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিনই এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন শেখ তন্ময়। করছেন গণসংযোগ, লিফলেট বিলি, অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনী পথসভা ও সমাবেশে। তার স্বপ্নগুলো তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে। সুদর্শন এই তরুণ প্রার্থীর বাচনভঙ্গি ও আন্তরিক উপস্থাপনায় সবাই অভিভূত। সদা হাস্যোজ্জ্বল, সুবক্তা- তন্ময়ে তন্ময় হয়েছে মানুষ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন একাধিক দিন এ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হতে যাচ্ছেন তন্ময়।’ এক নির্বাচনী সভায় তন্ময় বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য গাড়ি পান, বাড়ি পান, মাসে মাসে সম্মানী পান। নির্বাচিত হলে এসবের কিছুই দরকার নেই আমার। নেতা নই, সেবা করতে চাই মানুষের।’ তন্ময় আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের মতো আমারও অনেক স্বপ্ন আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে সুন্দর সম্ভাবনাময় দেশ গড়ে তুলতে চাই। বর্তমান প্রজন্মের মানুষ সহিংসতা চায় না। তারা স্বচ্ছতা, পরিচ্ছন্নতা এবং সততা নিয়ে দেশ গড়তে চায়।’

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শেখ তন্ময় বয়সে নবীন হলেও তার ব্যবহার, আচার-আচরণে কচুয়া ও বাগেরহাটের ভোটাররা মুগ্ধ। সাধারণ ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি।’ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘শেখ তন্ময় নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রতিটি সভা-সমাবেশে প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে মানুষকে দেশপ্রেম, উন্নয়ন, একতা, ভ্রাতৃত্ব ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত।’

বাগেরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভোটার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রাজনীতি বোঝার পর থেকে এত কম বয়সের কোনো প্রার্থীকে এত দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে দেখিনি।’

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ঢাকায় লেখাপড়া করেছেন তন্ময়। তারপর ভর্তি হন ভারতের একটি বোর্ডিং স্কুলে। ঢাকায় ফিরে আসেন আবার। শেষ করেন ও লেভেল এবং এ লেভেল। ২০০৭ সালে আবার ভারতে, ২০১২ সালে ঢাকায়। উচ্চশিক্ষার জন্য এরপর লন্ডনে। ২০১৫ সালে ঢাকায় ফিরে বিয়ে, স্ত্রী শেখ ইফরাহ তন্ময় শিক্ষক, পারিবারিক ব্যবসা সামলাতে সামলাতে প্রতিদিন।

তন্ময় রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত হন ২০১৭ সালে, বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বড় হয়েছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উপলব্ধি করে। বড় ফুফু শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় আগ্রহী হয়েছি রাজনীতিতে, ছোট ফুফু শেখ রেহানা জুগিয়েছেন সাহস। বাবা শেখ হেলাল উদ্দীন রাজনীতিতে পার করলেন দুই যুগ। শৈশব থেকে পরিবারের মধ্যে দেখে আসা রাজনীতি চর্চাই এখানে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে আমাকে।’