• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

‘টেমস নদী থেকে গুলশানে ঢেউ তুলতে পারে বিএনপি, পদ্মা-মেঘনায় নয়’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০  

‘জনগণের উত্তাল ঢেউ রাজপথে ওঠবে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে ঢেউ তুলতে পারেন; কিন্তু পদ্মা মেঘনা যমুনার পলিবিধৌত মুজিবের বাংলায় নয়। মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন, তা নিজে বিশ্বাস করতে পারেন কি না?

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

সরকারের পদত্যাগ চেয়ে বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। অথচ এ সময়ে কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে তারা নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে। বিএনপির অপরাজনীতিই এ দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে বড় বাধা। বিএনপি একবার নিরাপদ সড়ক, আবার কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে ভর করে সরকারের পদত্যাগ চেয়েছিল, যা হালে পানি পায়নি।

বিএনপি নেতাদের সব রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। সময় এলেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ের আকাশের মতো, সোশ্যাল মিডিয়া আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না।

কাদের অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে বার বার মিথ্যা ও পুরনো অভিযোগ করে চলছে, সরকার নাকি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না?

বিএনপি নেতাদের এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের মাঝেই পরম সহিষ্ণুতা আছে, আর আছে বলেই বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করতে পারছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম ৩ মাসে ৫০ সাংবাদিক আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন, তখন খোদ গণমাধ্যম রিলেটেড সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ এর এক রিপোর্টে তা প্রকাশ হয়েছিল। বিএনপি নেতারা এখন গণমাধ্যমের প্রতি লোক দেখানো লিপসার্ভিস দিচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, গণতন্ত্র এক টাকার বাইসাইকেল নয়, এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন।