• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচনে জামায়াত নিয়ে শঙ্কা, প্রস্তুত গোয়েন্দারা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামায়াত-শিবিরের অপতৎপরতায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, শেষ মুহূর্তে এসেও নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে নানারকম ছক কষছে যুদ্ধাপরাধী দলটি। জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা নির্বাচনের আগের দিন ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। মূলত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে ফায়দা লুটতে চায় তারা। তবে অনেক আগে থেকেই তাদের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন গোয়েন্দারা। বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ তারা পাবে না বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।

দায়িত্বশীল একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, জামায়াত-শিবিরের পলাতক নেতাকর্মীরা সবসময়ই নানারকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ভোটের মাঠে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে তারা জঙ্গি কায়দায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে। যদিও তেমন কিছু করার সক্ষমতা তাদের নেই। তারপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা।

সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এর মধ্যেও নির্বাচনী প্রচারের আড়ালে মাঠে নেমে পড়েছে জামায়াত-শিবিরের অনেক সদস্য। ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত নেতা ডা. শফিকুর রহমান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার প্রচারে কাজ করছে শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা। তারা এরই মধ্যে লাঠি মিছিল করেছে। সেই মিছিলের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড দেখে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-শিবির কর্মীরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। একাধিক জায়গায় তারা এমন ঝটিকা মিছিল করেছে। কয়েকটি গোপন বৈঠকের তথ্যও মিলেছে।

সূত্রগুলো বলছে, ভোটের মাঠে জামায়াতের প্রার্থীদের জয়লাভের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ কারণে প্রথমে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। তবে তা সম্ভব না হওয়ায় এখন তারা নাশকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চায়। এর ফলে ভোটকেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি কমে যাবে এবং নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে- এমনটাই তাদের আশা।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, নাশকতার ছক কষলেও জামায়াত-শিবিরের পক্ষে এখন তেমন কিছু ঘটানোর সুযোগ নেই। কারণ বিভিন্ন মামলায় তাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে। পলাতকদেরও বিভিন্ন সময় আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বাকিদের কর্মকাণ্ডের ওপর চলছে নিবিড় নজরদারি। এ কারণে তারা কোনো অঘটন ঘটাতে চাইলেও সুযোগ পাবে না। তারপরও সতর্ক করা হয়েছে সংশ্নিষ্টদের। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, গোলযোগের নূ্যনতম আশঙ্কা দেখলেই যেন তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে। এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে এরই মধ্যে দেশজুড়ে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রায় সব সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে আছে সেনাবাহিনীও। তাই ভোটারদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।