• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ তারেক!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২১  

সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ তছরুপ ও কমিশন বাণিজ্যে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদে মদতদান, মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপকর্ম করে শুধু দেশ নয় বিদেশেও সমালোচনার জন্ম দেন তারেক রহমান। এমনকি অপকর্মের কারণে তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দিতেও ওয়াশিংটনকে সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।

তথ্যসূত্র বলছে, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তারেক রহমানের বাড়াবাড়ি, দুর্নীতি, কমিশন বাণিজ্য, জঙ্গিবাদে মদতদানে চরম বিরক্ত ছিলো বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলো। তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিল বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। পরবর্তীতে বিশ্বে সাড়া-জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস তারবার্তাটি প্রকাশ করে। রাজনৈতিক দুর্নীতি করায় তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দিতে ওয়াশিংটনকে সুপারিশও করা হয়েছিল ওই তারবার্তায়।

উইকিলিকসের ফাঁস করা নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জঙ্গি সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই এর অন্যতম সহযোগী মাহতাব খামারুকে তারেকের টেলিফোনে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় র‌্যাব। ঢাকাস্থ মার্কিন কূটনীতিকরা বিএনপির পারিবারিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ উত্তরসূরিকে ‘জঙ্গি মদদদাতা’ সহ নানা বিপজ্জনক অভিধায় চিহ্নিত করেন।

তারেকের ব্যাপারে ঢাকায় কাজ করা মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি তার দেশকে লিখেছিলেন, ‌‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কুখ্যাত জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে এবং মায়ের উত্তরসূরি, ‘ভয়ঙ্কর রাজনীতিবিদ এবং দুর্নীতি ও চুরির মানসিকতা-সম্পন্ন সরকারের প্রতীক’। ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনে পাঠানো রিপোর্টে রাষ্ট্রদূত তারেক রহমানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুষ্টু এবং ভয়ঙ্কর পুত্র হিসেবে অভিহিত করেন।

মারিয়ার্টির রিপোর্টে তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিনিময়ে দেশের মন্ত্রিত্ব বিক্রির অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠন ও নির্বাচনে জয়লাভে কৌশলগত বুদ্ধি প্রয়োগের কৃতিত্ব তার। ৬০ জনের মন্ত্রিপরিষদের এক-তৃতীয়াংশই তিনি পূরণ করেছেন বা বিক্রি করেছেন।