• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯  

আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় ভোটের হাওয়া বইছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায়। নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দিলেই এই সিটিতে মেয়র পদে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। একই সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ৩৬ ওয়ার্ডে হবে কাউন্সিলর নির্বাচন।

এতে অংশ নিতে প্রস্তুত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি আতিকুল ইসলামকে হাতে রেখেই দলের ভেতর মেয়র প্রার্থী সন্ধান করছে।

তবে বিএনপির এ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এরই মধ্যে তারা ঘোষণা দিয়েছে- বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। সে ক্ষেত্রে সিটি নির্বাচনে দলটি না-ও আসতে পারে। দলের নেতারা মনে করেন, সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপি’ ইস্যু আড়াল করতেই সরকার এ সময় উত্তর সিটির উপনির্বাচন দিতে চাচ্ছে।

উভয় দলের দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর মধ্যে আলাপে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রায় ১৪ মাস ধরে শূন্য ডিএনসিসির মেয়রের পদ। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু ইউনিয়ন। ডিএনসিসিতে নতুন মেয়রসহ ডিএসসিসির বর্ধিত এলাকার কাউন্সিল বানাতেই এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামী মার্চে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা গত সপ্তাহে আভাস দিয়েছেন।

মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে তফসিল দেয় ইলেকশন কমিশন (ইসি)। ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন রাজধানীর ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

দীর্ঘ এক বছর পর গত বুধবার সেই রিট আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনের দ্বার উন্মুক্ত হয়।

জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে করা রিট আবেদন খারিজের চিঠি পায়নি ইসি। চিঠি পাওয়া মাত্রই নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করবে তারা। তবে উপজেলা নির্বাচন চলার সময় অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্ব সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসির উপনির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি পুরনো। মেয়র হিসেবে আতিকুল ইসলাম এবং ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে এক বছর আগে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে রেখেছে দলটি। তবে সময় ও প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পাশাপাশি সিদ্ধান্তও পরিবর্তনের কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনরা।

এ জন্য আতিকুল ইসলামকে হাতে রেখেই দলের ভেতর যোগ্য কাউকে প্রার্থী করা যায় কি-না তা ভাবছে। উপনির্বাচন নিয়ে বিএনপির চিন্তা কি- আপাতত সেই উত্তরের খোঁজে আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে এলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত হবে। না হলে সিদ্ধান্ত ভিন্ন হতে পারে।

মোটকথা বিএনপির সিদ্ধান্তের পর জানা যাবে আওয়ামী লীগ ঢাকা উত্তর সিটি উপনির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিয়ে তাদের আগের সিদ্ধান্তে থাকবে, না নতুন সিদ্ধান্ত নেবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন নিয়ে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে দলীয় সভানেত্রী (শেখ হাসিনা) যে নির্দেশনা দেবেন তা পালনে প্রস্তুত ঐক্যবদ্ধ নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনে অংশ না-ও নিতে পারে বিএনপি জোট। এ বিষয়ে অবশ্য তফসিল ঘোষণার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলটি। দলের নীতিনির্ধারকদের মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম’ ও ‘ভোট কারচুপি’ হয়েছে।

আগামীতেও যে কোনো নির্বাচন একই রকম হবে বলে তারা মনে করেন। তাই এ সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যেতে চাইছে না বিএনপি।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের পর দলীয় ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আমি মনে করি, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাওয়া উচিত হবে না। কারণ এ সরকার গণতন্ত্র বলতে শুধু চুরি আর ভোট ডাকাতি বোঝে। তিনি বলেন, সর্বশেষ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপ। সেখানে যখন আওয়ামী লীগ দেখেছে তাদের প্রার্থীদের ভরাডুবি হচ্ছে তারপর থেকে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে দিয়েছে তাদের অধীনে নির্বাচনের নমুনা কী হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তার ছেলে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।

প্রস্তুত আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদের প্রার্থিতার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। তবে যে সময় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তখনকার প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। সে সময় শক্ত প্রতিপক্ষই ভাবা হতো বিএনপিকে।

কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবিতে তাদের অসহায়ত্ব ও জনবিচ্ছিন্নতাই প্রকাশ পেয়েছে। ফলে যে প্রক্রিয়ায় তখন দলের বাইরে গিয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী খুঁজে বের করা হয়েছে এবার তা না-ও হতে পারে। দলের মধ্য থেকে জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতা সন্ধান করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে আগের সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নজরে এসেছে বলেও জানায় সূত্রটি।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার প্রায় দু’বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান তিনি। এরপর থেকেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন নিয়ে শুরু হয় তোড়জোড়। কিন্তু রিটের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পরপরই দলীয়ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সে সময় মেয়র পদে ১৮ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চেয়ে আবেদন করেন। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় দলটি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটও সমর্থন দেয় আতিকুলকে।

একই সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১২টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের তালিকাও সে সময় চূড়ান্ত করা হয়েছিল। রিট আবেদন করায় সে তালিকা আর প্রকাশ করা হয়নি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগ প্রার্থিতা নিয়ে কাজ শুরু করবে। দলের মনোনয়ন বোর্ডে সিদ্ধান্ত হবে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পূর্বে নির্ধারিত প্রার্থী যে পুনরায় চূড়ান্ত হবে না এমন কোনো কথা নেই। তবে নতুন করে মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে এবং দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।

এদিকে আগে মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম শুক্রবার বলেন, নির্বাচন নিয়ে দলীয় সভানেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আমি তার নির্দেশে ফের মাঠে নেমেছি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ গত বছর আমাকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়ে রেখেছে। আশা করি, এবারও সে সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আইনি জটিলতা কাটলেও ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন নিয়ে এখনও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বিশেষ করে নতুন যে ওয়ার্ডগুলো ডিএনসিসিতে যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর সীমানা চূড়ান্ত হয়নি। ভোটাররা কে কোন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন, সেটি নিয়ে এক ধরনের জটিলতা রয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটার তালিকাও নেই। নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ ধরনের জটিলতা বাধা হতে পারে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে উপজেলার পাশাপাশি আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনেও জয় চায় আওয়ামী লীগ। এক বছর স্থগিত থাকার পর উপনির্বাচনের পথ খুলে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

মেয়র পদ থেকে শুরু করে সাধারণ ও মহিলা কাউন্সিলর পদে লবিং শুরু হয়েছে নতুন করে। আওয়ামী লীগও চায় জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মীরাই পাক দলীয় মনোনয়ন। তবে এসব কিছুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত।

অনীহা বিএনপির : এ মুহূর্তে ডিএনসিসির নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতারা অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ডিএনসিসির মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর ১২ মাস পর নতুন নির্বাচন দিতে হবে। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর প্রায় ১৪ মাস আগে আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে যখন মেয়র পদ শূন্য হল তখন নির্বাচন হল না কেন? এখন ১৩-১৪ মাস আগে নির্বাচন দেয়ার কেন প্রয়োজন পড়ল। মেয়াদ পূর্তির পর নতুন নির্বাচনই করা যেত।

ওই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, আমরা এটাও মনে করছি, একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ‘অনিয়ম’ ও ‘ভোট কারচুপি’ হয়েছে তা নিয়ে এখন দেশে-বিদেশে সব জায়গায়ই আলোচনা চলছে। এ ইস্যুটি আড়াল করতেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন দিতে চাইছে সরকার।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে গতবারের মেয়র নির্বাচন কেমন হয়েছিল, তা তারা ভুলে যাননি। এর সঙ্গে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের বাস্তবতা মিলিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াতেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন তারা। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা এখন আর নেই। দলের নেতাকর্মীরাও মনে করেন ‘নিয়ন্ত্রিত’ নির্বাচনে গিয়ে মামলা-হামলার সংখ্যা আর বাড়িয়ে লাভ নেই।

সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশের পর এখন পর্যন্ত বিএনপির দলীয় ফোরামে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির পাঁচজন সদস্য বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তবে বৈঠকে উপস্থিত বাকি সদস্যরা এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

দলের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, বৈঠকে উপস্থিত পাঁচ সদস্য মত দিলেও মূলত সবাই একমত, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই যাবে না বিএনপি। আর এতেই পরিষ্কার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, এ সরকারের অধীনে ও সিইসির অধীনে যে ভোট কারচুপির নির্বাচন হয় তা দেশ-বিদেশে সবার কাছে পরিষ্কার। তাই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।